
ওঙ্কার ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি শিক্ষা দফতর তুলে দিতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার সেই মর্মে নির্দেশিকা জারি করতে চলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে প্রচারের সময় শিক্ষা দফতর তুলে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় এসে সেই প্রতিশ্রুতি কার্যকর করতে চলেছেন তিনি।
১৯৭৯ সালে শিক্ষা বিভাগ চালু হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এর পর থেকে ৩ লক্ষ কোটি ডলার খরচ হয়েছে। হোয়াইট হাউসের দাবি, এর পরেও পড়ুয়াদের পড়াশোনার কোনও উন্নতি হয়নি। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বরেও কোনও উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবারই শিক্ষা বিভাগ বন্ধের সেই নির্দেশিকায় সই করতে চলেছেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের অধীনে ১ লক্ষের বেশি স্কুল রয়েছে। স্রেফ তাই নয়, মার্কিন শিক্ষা দফতর সেদেশের ৩৪ হাজার বেসরকারি স্কুলের উপরও তদারকি চালায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জনকল্যাণ মিলিয়ে একটিমাত্র বিভাগ ছিল ১৯৫৩ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত। সরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষার মান ঠিক রাখার জন্য পৃথক শিক্ষা বিভাগের সূচনা হয়। এই দফতর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার খরচ বহন কর। পাশপাশি কলেজ পড়ুয়াদের টিউশন ফি জমা দিতেও সাহায্য করে এই দফতর। কিন্তু সেটি বন্ধ হয়ে গেলে সেদেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন বলে সরব হয়েছে ডেমোক্রাটরা। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের ফলে সেদেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দাপট বাড়বে। বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলি দেদার ফিজ নেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।