
শারদ উৎসবে স্কুল,কলেজ, অফিস ছুটি-সমস্ত জায়গাতেই। কিছু কিছু দপ্তরে এই উৎসবের মরশুমেও ছুটির সংখ্যা নিতান্তই কম থাকে। তবে এমন কিছু সরকারি কর্মীরা রয়েছেন যারা পূজোতে ছুটিই পান না। উপরন্ত পুজোর দিনগুলিতে তাদের ডিউটি আওয়ার থাকে ২৪ ঘন্টা। এমনই এক দপ্তরের কর্মীদের কথা জানাবো এই প্রতিবেদনে। যাদের আমি ,আপনি চিনি পুলিশকর্মী হিসেবে, তবে কারো কাছে তারাও কিন্তু পরিবারের সদস্য। পুজোর দিনগুলিতে কোন্ দিন কি ড্রেস পড়া হবে? তা নিয়ে আমরা বেজায় চিন্তায় পড়ে যাই। জামা কম হলে আবার মুখ ভার হয়। থিমের বাহারের মত আজকাল দর্শনার্থীদের ড্রেসের বাহারও নেহাত মন্দ নয়। তবে পুলিশ কর্মীরা তাদের এ সময় ঘামে ভেজা অথচ উজ্জ্বল ইউনিফর্মেই দেখা যায় পুজো মণ্ডপ গুলিতে অথবা মন্ডপ সংলগ্ন এলাকায়। ডিউটি কিন্তু এখানেই শেষ না মন্ডপে ডিউটির পাশাপাশি আবার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকেও নজর রাখতে হয়। ওই যে বছরের এই তো কটা দিন মানুষ আনন্দে মাতবেন, তাই ডিউটিতে অবিচল থাকতে হবে। মহালয়ার পর থেকেই মোটামুটি আজকাল প্যান্ডেল হপিং শুরু হয়। আর তাই ডিউটিও শুরু হয়ে যায় পুলিশ কর্মীদের। পুজোয় আপনার আমার কত প্ল্যানিং কোথায় খাবো কিভাবে সাজবো আরো কত কি? তবে এই পুলিশ কর্মীদের কিন্তু একটাই প্ল্যানিং সঠিক নিরাপত্তা প্রদান। আর এরপরেও সামান্য কিছু সমস্যা হলেই রীতিমতো তুলোধোনা করা হয় পুলিশ কর্মীদের। পুজোর কটা দিন মা দুর্গার সাথে তুলনা করে বহু নারীদের সংগ্রামের কাহিনী বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে আসে। তবে এটা কিন্তু ভুলে চলবে না এই পুলিশকর্মীদের জন্য অনেক দুর্গারাও কিন্তু রাত তিনটের সময় রাস্তায় বেরিয়ে সেফ- ফিল করেন পুজোর কটা দিন। তাই পুজোর কটা দিন অন্তত পুলিশ সারাবছর কি কি কাজ করে,আর কি কাজ করে না তার হিসেব না করে ওঁদেরকেও প্রাপ্য সম্মানটুকু কিন্তু দেওয়া যেতেই পারে। হাসিমুখে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানালে মনে হয় খুশিই হবেন ঘামে ভেজা ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশকর্মীরা।