
নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: গলায় দড়ি, কিন্তু পা ঠেকে রয়েছে মাটিতে। শরীরে পচন ধরেছে, গলে যাচ্ছে মাংসপিণ্ড। দুর্গাপুর মহিলা মহাবিদ্যালয়ের পাশের জঙ্গলে এমনই বিভীষিকাময় দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির পচা গলা দেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল দুর্গাপুরে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে মঙ্গলবার সকালে। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণা রায় জানান, “আমাদের এলাকার কিছু ছেলে প্রতিদিন ওই জঙ্গলে স্নান করতে যায়। আজ গিয়ে দেখে গাছ থেকে ঝুলছে এক মৃতদেহ। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের খবর দেয়। আমরা ছুটে যাই এবং দেখি, শরীরে পোকা ধরেছে, মাংস খুলে পড়ছে। এরপরই থানায় খবর দেওয়া হয়।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ পরে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তবে মৃত ব্যক্তির নাম, পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মৃতদেহটির পরনে ছিল ছেঁড়া জামাকাপড়। পকেট থেকে মেলেনি কোনও পরিচয়পত্র বা ফোন।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে দেহের অবস্থান ও গলার দড়ির ধরন দেখে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু গলার দড়ি লাগানো থাকলেও পা মাটিতে ঠেকে থাকায় খুনের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, “গলার দড়ি রয়েছে ঠিকই, কিন্তু পা ঠেকে থাকায় আত্মহত্যার ধরন সন্দেহজনক। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়। তদন্ত চলছে।”
জঙ্গলের ঠিক পাশেই দুর্গাপুর মহিলা মহাবিদ্যালয় থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মৃত ব্যক্তি অন্য কোথাও খুন হয়ে এখানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, নাকিঙম ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে—তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী। প্রশাসনের কাছে দাবি উঠেছে, মহিলা কলেজ লাগোয়া এই নির্জন জঙ্গলে যেন নিয়মিত টহল দেয় পুলিশ। পাশাপাশি, জঙ্গলের আশপাশে আলো ও নজরদারির ব্যবস্থাও জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।