
স্পোর্টস ডেস্ক: যুবভারতীতে গত নর্থ ইস্ট ম্যাচে ৫-০ গোলে জেতার পরে আত্মবিশ্বাসের মগডালে ইস্টবেঙ্গল। তবে শনিবার পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে শনিবার যুবভারতীতে নামার আগে আত্মতুষ্ট নন লাল হলুদ কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত। তার বার্তা মাটিতে পা রেখে চলার। এদিন কুয়াদ্রাত বললেন,আমরা বাস্তবের মাটিতে পা রেখে চলি। আমরা কী করেছি জানি, ঘরের মাঠে একটা ম্যাচ জিতেছি। চারটে ম্যাচ না জেতার পরেও একটা জয় একটা দলকে সাফল্যে ফেরাতে পারে। তবে আমরা সচেতন। নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করে যেতে হবে। কাল আবার আমরা সমর্থকদের সামনে নামব নিজেদের অপরাজিত রাখতে ও আরও তিন পয়েন্ট অর্জন করতে। আমি খুশি এই কারণে যে, আমার দলের ছেলেরা খেলাটা উপভোগ করছে। কারণ, পেশাদার ফুটবলে খুব মানসিক চাপ থাকে। সেটা কাটানোর জন্য খেলাটা উপভোগ করা খুবই জরুরি। সমর্থকেরাও খুশি। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি। আমাদের সেগুলো করতে হবে”।
পাঞ্জাব এফসি লিগ টেবলের একেবারে নীচের দিকে থাকলেও তাদের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল লাল-হলুদ কোচ। বলেন, “পাঞ্জাব ভাল দল। ওরা কয়েকমাস আগেই আই লিগ জিতে এসেছে। ওদের সেই দলের অনেককেই ওরা রেখে দিয়েছে। ওদের খুব ভাল কোচ আছেন। ওদের বিদেশি ফুটবলাররাও ভাল। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ওরা খুব ভাল খেলেছিল। ওরা এগিয়েছিল সেই ম্যাচে”।
প্রতিপক্ষে যে কয়েকজন ভাল ফুটবলার রয়েছেন, তা মনে করিয়ে দিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, “ওদের বিরুদ্ধে নেমে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ওরা আটটা ম্যাচে জিততে পারেনি। একটা জয়ের জন্য ওরা এখন মরিয়া। ওদের সুযোগ দিলে ওরা তা কাজে লাগাবেই। তাই ওদের সুযোগ দেওয়া যাবে না। আমাদেরও সুযোগ হাতছাড়া করলে চলবে না। জুয়ান মেরা ওদের দলের একজন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। ওর টেকনিক্যাল দক্ষতা, ড্রিবলিং খুবই ভাল। তবে ওদের দলে আরও ভাল ভাল খেলোয়াড় আছে। লুকা (মাজেন) নিয়মিত গোল করছে, (মাদি) তালালও যথেষ্ট ভাল ফুটবলার। গোলের সুযোগ তৈরি করে ভাল। এদের বিরুদ্ধে অসতর্ক হলেই সমস্যায় পড়তে হবে”।
ইস্টবেঙ্গল ছন্দে ফিরলেও তাদের শিবিরে একটা দুঃসংবাদ এসেছে সম্প্রতি। নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার হরমনজ্যোৎ সিং খাবরা হাঁটুতে চোট পেয়ে বেশ কয়েক দিনের জন্য মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন। কবে মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি, তা নিশ্চিত করে বলতে পারলেন না কোচ নিজেও। বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি খাবরার চোটটা সঠিক ভাবে নির্ধারণ করে যাতে সঠিক চিকিৎসা করা যায়। ওর হাঁটুতে সম্ভবত একটা জায়গায় আংশিক চিড় ধরেছে। কী পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে ও দ্রুত সেরে উঠবে, সেই ব্যাপারে আমরা ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছি”।