
প্রদীপ মাইতি , পূর্ব মেদিনীপুর: ভ্রমণের সাথে টুরিস্ট গাইড কথাটি ওতপ্রতভাবে জড়িত। দীঘা সহ উপকূলবর্তী এলাকার বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের কাছে এবার খুশির খবর। দীঘা, মান্দারমনি, তাজপুর সহ পর্যটন ক্ষেত্রে সরকারি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টুরিস্ট গাইড আসতে চলেছে। সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে টুরিস্ট গাইডদের । দীঘা, মান্দারমনি সহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় এইসব টুরিস্ট গাইডরা পর্যটকদের এবার থেকে গাইড করবেন। সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা প্রদানে ট্যুরিস্ট গাইডদের ভূমিকাকে স্বীকার করে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিভাগ পশ্চিমবঙ্গের ট্যুরিস্ট গাইডদের নির্বাচন, প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেশনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ ট্যুরিস্ট গাইড সার্টিফিকেশন স্কিমে অনেক পড়ুয়াকে এবার প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতির মধ্যেই তারা কাজে নামতে চলেছে। রামনগর এক নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই চরণ সার বলেন, সরকারিভাবে টুরিস্ট গাইডের যারা ট্রেনিং নিয়েছেন তারাই শুধুমাত্র পর্যটকদের টুরিস্ট গাইড রূপে কাজ করতে পারবেন। পর্যটন প্রকল্পটি নতুন ট্যুরিস্ট গাইডের দুটি বিভাগে বিভক্ত, যা নতুন আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য এবং একজন গাইড হিসেবে কমপক্ষে তিন বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আবেদনকারীদের জন্য ভেটেরান্স (বিদ্যমান) ট্যুরিস্ট গাইডের জন্য প্রযোজ্য৷ প্রাক্তন বিভাগের জন্য, আবেদনকারীদের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে এবং অবশ্যই কোর্সে নিবন্ধনের তারিখে বা তার আগে কোনও রাজ্য সরকার/ভারত সরকারের কোনও স্বীকৃত বোর্ড দ্বারা পরিচালিত ১০ তম শ্রেণির পরীক্ষা শেষ করতে হবে। সমস্ত প্রশিক্ষণ কারিগরি শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমে উৎকর্ষ বাংলা মডিউলের অধীনে জেলা পর্যায়ে পরিচালিত হয়। একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রার্থী হিসাবে, একজনকে অবশ্যই উত্সাহী হতে হবে এবং গন্তব্য বা পণ্য সম্পর্কে জ্ঞানের পাশাপাশি ভাল ব্যাখ্যা, উপস্থাপনা এবং সম্পাদনের দক্ষতা থাকতে হবে।
দীঘা, মান্দারমনি, তাজপুর সহ অনেক জায়গার সন্ধান দেবে এই টুরিস্ট গাইডরা। পর্যটকরা এলে এই টুরিস্ট গাইড দের কাছ থেকে এলাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কেও জানতে পারবেন। পর্যটন এলাকায় উন্নয়ন পর্ষদের সাথে ও ব্লক প্রশাসনের সাথে নির্দিষ্ট আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে কাজে যোগ দিতে চলেছেন টুরিস্ট গাইডরা।