
স্পোর্টস ডেস্ক : দিনরাতের প্রথম ডিভিশন ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল বনাম ভবানীপুর ম্যাচের শেষ দিন উত্তপ্ত ইডেনে ক্লাব হাউস।হাতাহাতিতে জড়ালেন ইস্টবেঙ্গল-ভবানীপুর, দু দলের ক্রিকেটার এমনকি কর্তারাও। চলে গালিগালাজও। এদিন বৃষ্টি র কারণে খেলা বন্ধ হয়। এরপরই ইস্টবেঙ্গলের ক্রিকেটার ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভবানীপুরের উইকেটকিপার শাকির হাবিব গান্ধীর বচসা দিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। মাঠেই শুরু হয় ঝামেলা। এরপর দুই দলের ড্রেসিংরুমে দুই দলের ক্রিকেটার আর কর্মকর্তা দের মধ্যে ঝামেলা। ইডেনের ড্রেসিংরুমের পুলিশ পাহারার ব্যবস্থাও করা হয়। ভবানীপুর প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ৬৪৩ আর ইস্টবেঙ্গল ২৪৩ রানে ৮ উইকেট। এরপর বৃষ্টির জন্য ম্যাচ আর হয়নি। যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল আর ভবানী পুর।ভবানী পুরের অভিযোগ ইস্টবেঙ্গল ইচ্ছা করে সময় নষ্ট করেছে নাহলে তারা ফাইনাল জিতে চ্যাম্পিয়ন হত।
ম্যাচের শেষে ভবানীপুর ক্লাবের শীর্ষ কর্তা সৃঞ্জয় বসু বলেন, ‘সিএবি লিগের নাম বদলে ইস্টবেঙ্গল লিগ করে দেওয়া উচিত।’ ইস্টবেঙ্গল ক্রিকেট সচিব সঞ্জীব আচার্য বললেন, এক হাতে তালি বাজে না। ওরা আগে নিজেদের আয়নায় দেখুন।এই ঘটনায় সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার চল্লিশ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারের এমন ঘটনা দেখিনি। ব্যাখ্যা করার মতো ভাষা নেই। ক্রিকেটার, অফিসিয়ালরা যেভাবে ঝামেলায় জড়াল। রিপোর্ট দেখার পর মিটিং ডেকে আমরা যা করার করব। ইস্টবেঙ্গল কিংবা ভবানীপুর কে কী বলছে জানি না। দুটো দলই যা করেছে তা বলার মতো ভাষা নেই।’ শুধু এবারেই প্রথম নয় গড়াপেটা থেকে ভুয়ো আঁধার কার্ড করিয়ে ভিন রাজ্যের ক্রিকেটারদের খেলানোর অভিযোগ বারবার মুখ পুড়েছে সিএবির। এবারে হাতাহাতি। সামনে সিএবি নির্বাচন কোনো পক্ষই ঝামেলা চায় না সব ক্লাব তুষ্ট রাখাই উদ্দেশ্য সিএবির শাসক গোষ্ঠীর।