
ওঙ্কার ডেস্ক : চিকিৎসকদের নজরদারিতে ৪৫ দিনের নিভৃতবাসে থাকছেন সুনীতারা। ২৮৬ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন সুনীতা এবং বুচ। মহাকাশের উদ্দেশে তাঁরা পাড়ি দিয়েছিলেন ২০২৪-এর জুন মাসে। কথা ছিল ৮ দিন মহাকাশে থাকবেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য তাঁরা আটকে পড়েন। এরপর শুরু হয় নানান টালবাহনা। আদৌ তাঁদের পৃথিবীতে ফেরানো যাবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল বিস্তর সংশয়। বাইডেন প্রশাসনের তরফেও দেখা দিয়েছিল অনীহা। অন্তত এমনই মনে করছে বর্তমান প্রশাসক। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার নির্বাচনী লড়াইতেও এটা ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। তার মধ্যেই সুনীতাদের ফেরানো চেষ্টা চালাতে থাকে নাসা। শোনা যাচ্ছে, সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও তা বার বার পিছিয়ে যাচ্ছিল। ট্রাম্প ফের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে আসার পর এই বিষয়ে নজর দেন। সুনীতাদের অবিলম্বে ফিরিয়ে আনার ব্যপারে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দায়িত্ব দেন মাস্ককে। অবিলম্বে সুনীতাদের ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। তার পরেই মহাকাশে ড্রাগন যান পাঠান হয়।
ন’মাসেরও বেশি সময় মহাকাশে আটকে থাকার পর বুধবার ভোরে পৃথিবীতে ফিরেছেন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সঙ্গী নভশ্চর বুচ উইলমোর। সুনীতা এবং বুচ আপাতত ৪৫ দিনের নিভৃতবাসে থাকবেন। সঙ্গে আরও দুই মহাকাশচারীও। দীর্ঘ দিন মাধ্যাকর্ষণবিহীন মহাকাশে থাকার পর তাঁরা পৃথিবীর জল-হাওয়ার সঙ্গে আর পাঁচটা মানুষের মতোই অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন কি না, সে দিকে নজর রাখবেন চিকিৎসকেরা। তার মধ্যেই উঠতে শুরু করেছে এই মিশানের জন্য যে বিপুল খরচ হয়েছে তা নিয়ে।
মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থা স্পেস এক্স-এর ফ্যালকন ৯ রকেট মহাকাশযান ড্রাগন ক্যাপসুলকে পৌঁছে দিয়েছিল নির্দিষ্ট কক্ষপথে। ২০২৪ সালে কেবল এই রকেট উৎক্ষেপণের খরচ ছিল ৬৯ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৯৫ কোটি টাকা। এবার সুনীতারা যে মহাকাশযানে পৃথিবীতে নেমেছেন, সেই ড্রাগন ক্যাপসুলের খরচ ধরলে মোট খরচের পরিমাণ হয় প্রায় ১৪০০ কোটি মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এই বিপুল খরচ বহন করছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।