
ওঙ্কার ডেস্ক: ফের একবার শিরোনামে বাংলাদেশের বিতর্কিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। বিতর্ক যেন পিছু ছাড়তেই চায় না তাঁর। এবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও নায়িকা বানানোর আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠল হিরো আলমের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আরও ৫ জন। ইতিমধ্যেই সকলের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা।
জানা গিয়েছে, গত রবিবার এক মহিলা উত্তর জনপদ জেলার বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন অভিযোগে মামলাটি করেন। জানা গিয়েছে, আদালতের বিচারক মহম্মদ আনোয়ারুল হক অভিযোগকারিণীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলার অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ও বগুড়ার পুলিশ সুপারকে। অভিযুক্ত অন্য ব্যক্তিরা হলেন হিরো আলমের মেয়ে আলো খাতুন, সহকারী আল আমিন, মালেক, মালেকের স্ত্রী জেরিন এবং আহসান হাবিব।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, হিরো আলম বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও নায়িকা বানানোর আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ওই মহিলাকে নাকি ধর্ষণ করেন। এছাড়াও পরে এক মৌলবি ডেকে কবুল পড়িয়ে তাঁকে বিয়ে করার কথা বলে বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে একত্রবাস করেন। এক সময় মহিলা অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়লে গত ১৮ এপ্রিল বগুড়ার বাড়িতে নিয়ে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায় ২১ এপ্রিল হিরো আলম-সহ অন্যান্যরা মহিলাকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ জানান। এতে গুরুতর রক্তক্ষরণ হলে তাঁকে শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর গর্ভপাত হয়।
এরপর ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত অভিযোগকারিণী বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এছাড়াও অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সিনেমা তৈরির নাম করে হিরো আলম ওই মহিলার থেকে মোটা অংকের টাকা ধার নেন। কিন্তু এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে হিরো আলম সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এই মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে আমার বিরূদ্ধে। আমি এর সঠিক তদন্ত চাই।”
উল্লেখ্য, বহু বিতর্কে জড়ানো হিরো আলম গত বছর বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেন। অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে প্রার্থী হলেও তিনি জিততে পারেননি।