
ওঙ্কার ডেস্ক: ‘জাতিস্মর’, ‘এক যে ছিল রাজা’ এবং ‘দশম অবতার’-এর দারুন সাফল্যের পর ফের সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে যিশু সেনগুপ্ত। বছর দুয়েক বাদে আবারও ফ্রেমে দেখা যাবে ‘যিশু ম্যাজিক’। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহল সূত্রের খবর, সৃজিতের ম্যাগনাম অপাস ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকছেন অভিনেতা। জানা গেল, নিত্যানন্দর চরিত্রে দেখা যেতে পারে বঙ্গতারকাকে। একসময়ে টেলিপর্দায় ‘মহাপ্রভু’র চরিত্র দিয়েই দর্শকদের অন্দরমহলে জায়গা করে নিয়েছিলেন যিশু। তার পর কেটে গিয়েছে ২৯টি বছর। এবার যিশু সেনগুপ্তর সেই বৃত্তই যেন সম্পূর্ণ হতে চলেছে সৃজিতের হাত ধরে।
জানা গিয়েছে, যিশু আপাতত নতুন কাজের সূত্রে বিদেশে রয়েছেন। সেখান থেকে ফিরলেই অভিনেতার লুক সেট করবেন নির্মাতারা। দীর্ঘদিন ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে এই ছবিটি নিয়ে চর্চা চলছে। তার অন্যতম কারণ ছবির কাস্টিং। মাঝে মাঝেই অভিনেতা বদলের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ছবির প্রযোজনায় রানা সরকার ও এসভিএফ। চৈতন্যদেবের ভূমিকায় দেখা যাবে দিব্যজ্যোতি দত্তকে। গত চার বছর ধরে বিভিন্ন অভিনেতার কথা শোনা গিয়েছিল। তবে গত দোলপূর্ণিমায় তাঁর ছবির ‘মহাপ্রভু’র সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন সৃজিত। এছাড়াও লক্ষ্মীপ্রিয়ার ভূমিকায় রয়েছেন আরাত্রিকা মাইতি। বিষ্ণুপ্রিয়ার ভূমিকাতে অলোকানন্দা গুহ। টেলিপর্দার তারকা মুখদের ভিড়ে ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিটির বক্স অফিসেও প্রভাব পড়বে, তা বলাই বাহুল্য কারণ টেলিদর্শকদের একটা বড় অংশ এই অভিনেতাদের বড়পর্দায় অভিনয় দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। এছাড়াও ব্রাত্য বসু গিরিশ ঘোষের ভূমিকায় থাকছেন আর বিনোদিনীর চরিত্রে রয়েছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। বাকি কাস্টিংয়েও চমক! ইশা সাহাকে প্রথমবার দেখা যাবে সৃজিতের ছবিতে। সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত-ও থাকছেন এই ছবিতে। ‘অটোগ্রাফ’ এবং ‘মিশর রহস্য’-র পর আবারও সৃজিতের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন তিনি। ইশা থাকছেন পরিচালকের ভূমিকায় এবং ইন্দ্রনীলকে দেখা যাবে এক সুপারস্টারের চরিত্রে। যার স্ত্রীয়ের ভূমিকায় অভিনয় করবেন পার্ণো মিত্র।
শ্রীচৈতন্যের জীবনের একটা বড় অংশ থাকবে ছবি জুড়ে। এছাড়া চৈতন্যের অন্তর্ধান রহস্যেরও নানা দিকও উঠে আসবে ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিতে। এই সিনেমার চিত্রনাট্য সাজানো তিন সময়কাল নিয়ে। নটি বিনোদিনী, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, গিরীশচন্দ্র ঘোষের মতো ঐতিহাসিক চরিত্র রয়েছে। পাশাপাশি সিনেমার সিংহভাগ শুটিং হবে নবদ্বীপে। আর কলকাতা, পুরীতে শুটিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২১ সালে প্রথম এই ছবির ঘোষণা হয়েছিল। এবার পঁচিশ সালে কাস্টিং নিয়ে চমক দিতে চলেছেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।