
ওঙ্কার ডেস্ক: ভারী বর্ষণ, আর তার জেরে কর্নাটকের একাধিক জায়গায় ভূমি ধস। কোথাও আবার জমা জলে জনজীবন বিপর্যস্ত। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বেসামাল দক্ষিণ পশ্চিমের এই রাজ্য। ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৫।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অতিবৃষ্টিতে কর্নাটকের ৩১ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বন্যা ও জমা জলের সমস্যা তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ কর্নাটকের মেঙ্গালুরুর পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ভূমি ধসের ঘটনা ঘটেছে। ধসের ফলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত আট জন। পাশাপাশি বন্যা ও জমা জলে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭ জন। কর্নাটকের রাজধানী শহর বেঙ্গালুরুতেই জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত পাঁচ জনের। কিন্তু কেন এমন বিপর্যয়? কর্নাটকের সরকারি সূত্রের দাবি, রাজ্যের নিকাশি ব্যবস্থা ও খালগুলির বেশির ভাগ জবরদখ হয়ে গিয়েছে। কার্যত অস্তিত্ব নেই আর সেগুলির। আর তার জেরে বিভিন্ন জায়গায় জল জমে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কর্নাটকের সেচ দফতরের দাবি, তারা ৪১ হাজার নিকাশি খাল দেখভাল করে। কিন্তু এগুলির ১৪ হাজারই জবরদখল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
বিপর্যয়ের মুখে পড়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, চলতি বছরে বর্ষা আসার আগেই রাজ্যে দেড়শো শতাংশের বেশি বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। যার ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বর্তমানে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ বিপন্ন। যদিও এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্য চায়নি কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের হাতে হাজার কোটি টাকা আছে। সেই টাকা থেকে বিপর্যয়ে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থদের ঘরবাড়ি তৈরি ও সংস্কার করে দেওয়া হবে।