
অপরূপা কাঞ্জিলালঃ “বোম বোম ভোলে বোম” শুনেই কি মনে পড়ে?? হ্যা একদম ঠিক, মনে পড়ে তারকেশ্বর এর কথা। হুগলির তারকেশ্বরের কথা। যেখানে বহু দর্শনার্থী সমাগমে মুখরিত হয়ে ওঠে বছরের বেশিরভাগ সময়। তবে এবার কিন্তু তারকেশ্বর স্টেশনে পা রেখেই চমকে উঠতে চলেছেন সকলেই। চিনতেই পারবেন না আর,বদলে যাচ্ছে বাংলার বিখ্যাত তারকেশ্বর স্টেশনের লুক!
বৈদিক যুগে মহাদেব অমৃত পাননি বরং একাই জগতের সমস্ত বিষ কণ্ঠে ধারণ করেছিলেন। তবে কলিযুগে মহাদেব পেতে চলেছেন অমৃত ভন্ড, আহা অবাক হলেন কথা হচ্ছে অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের! আর তাতেই ম্যাজিকের মতো বদলে যাচ্ছে হুগলি জেলার বিখ্যাত শৈব তীর্থ তারকেশ্বর রেল স্টেশনের লুক!চেনা স্টেশন হয়ে যাবে একেবারে অচেনা।কি কি বদল আনা হচ্ছে এই স্টেশনে?নতুন কি পরিষেবা মিলবে অতি ব্যস্ততম এই স্টেশন?কি কি চমক থাকছে রাজ্যবাসীর জন্য? রইলো বিস্তারিত।
ভারতবর্ষের যে কয়েকটি জাগ্রত মন্দির রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো দেবাদিদেব মহাদেবের তারকেশ্বর মন্দির।দূর দূরান্ত থেকে প্রায় প্রতিদিনই বহু ভক্ত আসে এই মন্দিরে পুজো দিতে।শুধু তাই নয়,অফিস যাত্রী থেকে শুরু করে বহু মানুষের প্রতিদিনের গন্তব্য স্টেশন হয় এই তারকেশ্বর স্টেশন।এমনকি প্রতিবছর শ্রাবণ মাসে শ্রাবনী মেলায় অংশ নিতে এই তারকেশ্বর স্টেশনে উপচে পড়ে ভক্তদের ঢল।এবার সেই স্টেশনের পুরোপুরি ভোল বদল মোদি জামানায়।
যে কয়েকটি স্টেশনে বদল আসছে,তার মধ্যেই যুক্ত হতে চলেছে এবার তারকেশ্বর স্টেশন।কি কি সুযোগ পাওয়া যাবে এবার থেকে তারকেশ্বর স্টেশনে?জানা গিয়েছে,তারকেশ্বর স্টেশনে মিলবে এবার থেকে উন্নতমানের পানীয় জলের ব্যবস্থা।উন্নতমানের শৌচালয়,ফুড প্লাজা থেকে শুরু করে প্রতীক্ষালয় থাকবে।শুধু তাই নয়,থাকবে ফ্রি ওয়াই ফাইয়ের ব্যবস্থা।চওড়া হবে স্টেশন সংলগ্ন রাস্তা।অর্থাৎ বলা চলে, আধুনিকতার চাদরে নিজেকে সাজিয়ে এবার তারকেশ্বর স্টেশন আসতে চলেছে নতুন অবতারে। এবার কৈলাশ থেকে নেমে শিব ঠাকুর চিন্তে পারবেন কিনা সেটা অবশ্য ভারি চিন্তার বিষয়।