
স্পোর্টস ডেস্ক : ক্লেটন সিলভার পরে ইস্টবেঙ্গল দলে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এখন নন্দকুমার। ডুরান্ড কাপ ডার্বিতে গোল করে দীর্ঘদিন পরে দলকে ডার্বি জেতানো হোক অথবা দলকে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন করতে বড়ো ভূমিকা নেওয়া সবকিছুতেই নন্দ ম্যাজিক। গত চেন্নাই এফসি ম্যাচেও গোল করে দলকে জিতিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সুপার সিক্স যাওয়ার স্বপ্ন টিকিয়ে রেখেছেন নন্দকুমার। এদিন নন্দকুমার যেমন বললেন,’টানা হার আর ড্রয়ের পরে দলকে জেতাতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। এই ফর্মটাই ধরে রাখতে চাই।এতগুলো গোলে আমার অবদান রাখতে পেরে ভাল লাগছে। তবে আরও অনেক কিছু করতে চাই। শুধু নিজের জন্য নয়, দলকে পরের স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্যও”।
সোমবার জয়ে ফেরার পর বৃহস্পতিবার তাদের সামনে কঠিন পরীক্ষা। সে দিন ভুবনেশ্বরে ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। কয়েকদিন আগেই ভুবনেশ্বরে গিয়ে গোলশূন্য ড্র করে এসেছে মোহনবাগান । এ বার ইস্টবেঙ্গলকেও ওড়িশার ঘরের মাঠে নামতে হবে।
লাল-হলুদ শিবিরে যোগ দেওয়ার আগে কলিঙ্গবাহিনীরই সদস্য ছিলেন নন্দকুমার। ২০২২-২৩ মরশুমে আইএসএলে ওড়িশার হয়ে ছ’টি গোল করেছিলেন ও একটি করিয়েছিলেন নন্দকুমার। সে বার ওডিশার সুপার কাপ জয়ে তাঁর অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সুপার কাপে একাই চারটি গোল করেন তিনি। সেই ওড়িশার বিরুদ্ধে এ বার খেলতে নামবেন তিনি। চলতি লিগের প্রথম সাক্ষাতে ওড়িশার বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচেও তাদের সামনে বড় পরীক্ষা।
নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে নন্দকুমার বলেন, “এর পরে একটা ভাল ম্যাচ খেলতে চলেছি আমরা।ওড়িশার এফসি এখন লিগ টেবলে এক নম্বর দল। আমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তিন পয়েন্টের জন্যই খেলব আমরা”।
তবে এমন একটি কঠিন ম্যাচে রক্ষণ সামলানোর জন্য জর্ডন থেকে আসা সেন্টার ব্যাক হিজাজি মাহেরকে পাবে না ইস্টবেঙ্গল। চেন্নাইনের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ দিকে তিনি হলুদ কার্ড দেখায় এই ম্যাচে তাঁকে মাঠে নামাতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল। সাইডলাইনে দেখা যাবে না কোচ কার্লস কুয়াদ্রাতকেও।
দলের রক্ষণের বড় ভরসা হয়ে উঠেছেন হিজাজি। ওড়িশার বিরুদ্ধে তাঁকে না পাওয়া প্রসঙ্গে নন্দকুমার বলেন, “হিজাজিকে ছাড়া সামলানো কঠিন হবে। তবে আমাদের দলে এমন খেলোয়াড় আছে যারা দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। বেঞ্চের খেলোয়াড়দের কাছে এটা এগিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ। আশা করি, সেই সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারবে”।