
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কেরলের ওয়েনাড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারই সেখানে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছুঁই ছুঁই । যদিও উদ্ধারকারীরা সংবাদ সংস্থা কে জানিয়েছেন বহু নিখোঁজ মানুষের সন্ধান না পাওয়া যাওয়ায় প্রকৃত সংখ্যাটি অনেক বেশী হতে পারে। শুক্রবারও ওয়েনাড়ের ভূমিধসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি গ্রাম মুন্ডাক্কাই, চূড়ালমালা এবং আত্তামালায় যৌথ তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সেনা, এনডিআরএফ, উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং নৌসেনা। কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। প্রতিটি দলে তিন জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং বন দফতরের এক জন কর্মীকে আছে। উদ্ধার অভিযানকে ত্রুটিমুক্ত করতে এদিন সকাল থেকে ড্রোনের মাধ্যমেও চলছে নজরদারি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার চালিয়ার নদী তীরবর্তী অঞ্চল ধরে তল্লাশি অভিযান চলছে। তবে বৃষ্টি এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে বার বার বিঘ্নিত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার অবধি ভারী বৃষ্টি চলবে ওয়েনাড়ে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কেরলের ত্রিশূর, মলপ্পুরম, কোঝিকোড়, কন্নুর এবং কাসারগড় জেলায়।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতের ধস নামার পরে জলের স্রোত এবং কাদামাটিতে ভেসে গিয়েছিল মুন্ডাক্কাই এবংচূড়ালমালার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী সেতুটি। বৃহস্পতিবার দ্রুততার সঙ্গে সেখানে বেলি ব্রিজ তৈরি করে ফেলে সেনা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ১৯০ ফুট দীর্ঘ বেলি ব্রিজ তৈরি করেছে ভারতীয় সেনার মাদ্রাজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ। অস্থায়ী সেতু তৈরি হয়ে হয়ে যাওয়ার ফলে উদ্ধারকাজে আরও গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেনা সূত্রে খবর, নতুন সেতুর মাধ্যমে বিকল্প পথে ভূমিধস কবলিত চুড়ালমালা এবং মুন্ডাক্কাইয়ের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করা যাবে। ইরুভঞ্জিপ্পুঝা নদীর উপর নির্মিত এই বেলি ব্রিজ সাহায্য করবে উদ্ধারের কাজ চালাতে।
বৃহস্পতিবারই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্য়ান্ডেলে পোষ্ট করেন জানান, “কেরলের ওয়েনাডে ভূমিধসের খবরে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বড় বিপর্যয় নেমে এসেছে সেখানে। মানবতার খাতিরে আমরা দলের দুই সাংসদ সাকেত গোখলে ও সুস্মিতা দেবকে পাঠানো হচ্ছে বিপর্যস্ত এলাকায়। ওঁরা দুই দিন থাকবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে যাবতীয় সাহায্য ও সহযোগিতা করবে। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।”