
ওঙ্কার ডেস্ক: ১২ জুন, বৃহস্পতিবার ঘটে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর গভীর শোকপ্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দুর্ঘটনার কিছু সময়ের মধ্যেই তিনি পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল।
বি জি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসনে সজোরে ধাক্কা মারার পর বিস্ফোরণের কারণে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বিমানটি। মোট ২৩০ জন যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানটি। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডিয়ান নাগরিক। অমিত শাহ জানান, বিমানটিতে প্রায় ১.২৫ লক্ষ লিটার জ্বালানি ছিল। যার ফলে কারও বেঁচে ফেরার কোনও সুযোগই ছিল না।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় একমাত্র বেঁচে আছেন ৩৮ বছর বয়সি ব্রিটিশ নাগরিক রমেশ বিশ্বাস কুমার। তিনি বিমানের ১১A সিটে বসেছিলেন, যা এমার্জেন্সি এক্সিটের কাছে ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান। এই দুর্ঘটনায় ৫ জন ছাত্র প্রাণ হারিয়েছে বলে খবর। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশা।
দুর্ঘটনায় তীব্র আগুনে দেহগুলির চেহারা এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছে যে কারও আলাদা পরিচয় জানা যাচ্ছে না। তাই মৃতদের আত্মীয়দের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা হচ্ছে। অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রায় ১,০০০ টি ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যের ফরেন্সিক দল একসঙ্গে কাজ করছে। বিদেশি যাত্রীদের পরিবারদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে বলা জানানো হয়। প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে।
অমিত শাহ জানান, দুর্ঘটনার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি জানতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে ফোন করে তাঁকে খোঁজ নিয়েছিলেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বেসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু তদন্তের কাজ দ্রুত শেষ করতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন।