
ওঙ্কার ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ৩৩ হাজার। কিন্তু আইপিএল জয়ের উল্লাসে সামিল হতে বুধবার স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করেছেন প্রায় দুই লক্ষ মানুষ। আর যার ফলে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে, এমনটাই জানালেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। বিজেপির তরফে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে।
কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘বেঙ্গালুরুতে উৎসব দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। এই ঘটনা অনায়াসে এড়ানো যেত। প্রশাসনের কোনও দূরদর্শিতাই নেই। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে চূড়ান্ত ব্যর্থ কর্নাটক সরকার। তাদের অবহেলার কারণেই এতগুলো মানুষের মৃত্যু হল।’ অন্য দিকে এই ঘটনা নিয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘এত মানুষ চলে আসবেন, আমরা ভাবতে পারিনি। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৩৩ হাজার। সেখানে দু’তিন লক্ষ মানুষ ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। স্টেডিয়ামের দরজাটাও ছোট। ভিড়ের ঠেলায় তা ভেঙে যায়। এই জমায়েত কেউ আশা করেননি। তবে যা হয়েছে, আমি তার জন্য কোনও অজুহাত দিতে চাই না।’
উল্লেখ্য দীর্ঘ ১৮ বছর পর অবশেষে চলতি মরসুমে প্রথম আইপিএল জিতেছে রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলিদের সঙ্গে জয়ের উদযাপনে সামিল হতে বুধবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম বাইরে লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়ো হন। সেখানেই হুড়োহুড়ির জেরে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। যার ফলে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও।