
ওঙ্কার ডেস্ক : শনিবার ওমর আবদুল্লার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি জম্মু-কাশ্মীর থেকেই পাকিস্তানকে প্র্ত্যাঘাত করা হচ্ছে ? পহেলগাঁও হামলার পরে শনিবার লোক কল্যাণ মার্গে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠক ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে যোগ্য প্রত্যাঘাতে তিন বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর। এরপর জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মোদির বৈঠক, প্রায় ৩০ মিনিট ধরে কথা হয় দু’জনের।
এদিনও ফের নাম না করে পাকিস্তানকে কড়া বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কারণ এখনও সীমান্তে পাক উস্কানি চলছেই। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে টানা ৯ দিন সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের। এভাবে সীমান্তে পাক উস্কানি অব্যাহত রয়েছে।পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাক সেনা। সেই ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা গিয়েছে, সুধানৌতি এলাকায় সাধারণ মানুষকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাক সেনাবাহিনী। কুপওয়াড়া, উরি, আখনুর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে গুলি ছুঁড়ে চলে পাকিস্তান। এদিকে এরই মধ্যে সীমান্তে টানটান উত্তেজনার মধ্যেই আবদালি ওয়েপন সিস্টেম পরীক্ষা করল পাকিস্তান। ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করল পাকিস্তান।
এই আবহে ফের সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে কড়া বার্তা নরেন্দ্র মোদির। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্তপারের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে’। অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্টকে পাশে বসিয়ে বার্তা মোদির। তিনি বলেন, ‘মানবতার জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদ। পহেলগাঁওয়ে হামলা নিয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন অ্যাঙ্গোলার রাষ্ট্রপতি। সন্ত্রাসবাদ ও নাশকতায় মদতদাতাদের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াই চলবে’।