
নিজস্ব সংবাদদাতা : অশান্ত মুর্শিদাবাদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের) প্রতিবাদে দিন কয়েক ধরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে মুর্শিদাবাদের কিছুর এলাকা। শনিবার এই অশান্তির ঘটনা রুখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন এই মামলায় বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর স্পেশ্যাল বেঞ্চ জানিয়েছে, “মুর্শিদাবাদে সম্প্রীতি ফেরানোই এখন একমাত্র লক্ষ্য। এহেন পরিস্থিতিতে আদালত চোখ বন্ধ করে রাখতে পারে না।”
রাজ্য এবং শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীদের সওয়াল-জবাবের পর বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, মুর্শিদাবাদে শান্তি রক্ষায় পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে।
শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, “মুর্শিদাবাদ রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা। খুবই স্পর্শকাতর। কোনও ভয়াবহ ঘটনায় বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায় মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে কেন্দ্রের দায়িত্ব সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যেতেই পারে। ফরাক্কায় ধূলিয়ান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বোমাবাজির ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তা সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।”
রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা সওয়াল করেন, “৬ কোম্পানি বিএসএফ, ১০০০ পুলিশ, এডিজি, ডিআইজিরা রয়েছেন। ১৩১ গ্ৰেফতার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। প্রথম আবেদনকারী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দ্বিতীয় জন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তাই এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অভিসন্ধি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পরিস্থিতি পুলিশের দায়িত্ব। যাদবপুরে পুলিশকে পেটানো হয়েছে। ডিজিপি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হলে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু এখানে মামলা করা হয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে।”
দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, “আদালত এমন অশান্তির ঘটনায় চোখ বন্ধ করে রাখতে পারে না। তার কারণ অপরাধীদের শনাক্ত করে পদক্ষেপ করতে হবে। মুর্শিদাবাদে শান্তি, সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনাই এখন আদালতের মূল বিচার্য বিষয়।”
ভিডিও দেখুন-