
ওঙ্কার ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া একগুচ্ছ মামলার শুনানি হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার সেই মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতির মন্তব্য এই মামলার শুনানি হাইকোর্টেও হতে পারে। মামলা শুনছে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ।
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এদিন শুনানির সময় বলেন, ‘যে কোনও এক হাই কোর্টকে এই মামলা শোনার নির্দেশ দিতে পারি। হাই কোর্টের রায় আমাদের সুবিধা করে দেবে।’ এদিন আদালতে আইনজীবী কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনে সীমাবদ্ধতা ছিল না। নতুন ওয়াকফ সংশোধনী আইনে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার পর্যবেক্ষণ, ‘সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আমরা বলতে পারি না যে, নিয়ন্ত্রণ করলেই তা অসাংবিধানিক।’
এদিন শীর্ষ আদালতে সিব্বল সওয়াল করেন, ‘আমার জমি রয়েছে। তাতে আমি অনাথ আশ্রম করব। এতে সমস্যা কোথায়? এর জন্য নথিভুক্তকরণ করতে যাব কেন?’ এর জবাবে প্রধান বিচারপতি জানান, ওয়াকফে সম্পত্তির নথিভুক্তকরণ করলে সুবিধা হবে। সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সিঙ্ঘভি আর্জি জানান, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের কিছু অংশে আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। গোটা আইনে নয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা আসব বিষয়টিতে।’
উল্লেখ্য, নতুন সংশোধিত ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ অনেকে। গত ২ এপ্রিল লোকসভায় পাশ হয়েছিল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। ৩ এপ্রিল পাশ হয় রাজ্যসভায়। এর পর ৫ এপ্রিল রাতে তাতে সই করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের সাংবিধানিক প্রধান সই করার পরে তা আইনে পরিণত হয়েছে।