
ওঙ্কার ডেস্ক : সেই জন্মকাল থেকেই প্রতিনিয়ত পৃথিবীর উপর চলে আসছে সৌর হানাদারী। বহু বিধ্বংসী হামলা থাকে পৃথিবীকে অবস্থানগত কারণে বৃহস্পতি বাঁচালেও, এই গ্রহ যে এক্কেবারে বিপদ মুক্ত তা নয়। অন্যান্য দিক থেকে প্রতিবছরই সৌর হানাদাররা আছড়ে পড়ে পৃথিবীর উপর যা তছনছ করে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থাকে। কখনো বা উজ্জ্বল করে তোলে মেরুজ্যোতিকে। এরা আসে পৃথিবী থেকে প্রায় সাড় ৯ কোটি মাইল দূরে থাকা সূর্য থেকে। সূর্যের বিপুল পরিমাণ শক্তি অন্দর থেকে ছিটকে এসে ছড়িয়ে পড়ে মহাকাশে। অ্যাস্ট্রোনমিতে যাকে বলে সোলার ফায়ার বা সৌরঝলক। যা অত্যন্ত শক্তিশালী ও বিপজ্জনক। এটা হয় সূর্যের ভিতরকার প্রলয়ঙ্কর বিস্ফোরণের কারণে।

নাসার বিজ্ঞানীদের ধারণা, এ বছর এই সোলার ফায়ারের তীব্রতা আরও বাড়বে। কারণ হিসেবে তাঁরা মনে করছেন, সৌরচক্রের সবচেয়ে কঠিন সময় আসছে। এবছর ‘সোলার ম্যাক্সিমাম’ পর্বে পা রাখবে সূর্য। যার টের পাওয়া যাচ্ছে গত বছর থেকে। তাই সৌরজগতের সবাইকেই ভুগতে হবে সৌর ঝড়ের দাপটে। আচমকা সূর্যের মধ্যে বিস্ফোরণের ফলে বিপুল পরিমানে আয়নিত কণার স্রোত, প্রবল শক্তি নিয়ে ছড়িয়ে পড়বে সৌরসংসারে। এর জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়বে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে। আয়নিত কণার শক্তিশালী ঝড়ের মুখে পড়ে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহগুলির ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। যা মনে করিয়ে দিচ্ছে ১৮৫৯ সালের ‘ক্যারিংটন ইভেন্ট’-এর কথা’। সে বার টেলিগ্রাফের তারে আগুন ধরে গিয়েছিল। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বহু মানুষের। দীর্ঘ সময় ধরে বিপর্যস্থ হয়েছিল বিদ্যুৎ পরিষেবা।

নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এবারের সোলার ফায়ারের তাণ্ডবে পুরোপুরি বিকল হয়ে পড়তে পারে ইন্টারনেট পরিষেবা, বিপর্যস্থ হতে পারে ডিজিটাল দুনিয়া এবং আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এমন কি উপগ্রহগুলি ভেঙে গিয়ে প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসতে পারে পৃথিবীর দিকে। এর ফলে বড়সড় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকছে।