
ওঙ্কার ডেস্ক : ১৮ মাস ধরে চলতি সংঘর্ষে ৫০০০০ প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হয়েছে। রবিবারও ২৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। এই পরিস্থিতির জন্য ট্রাম্প প্রশাসন দায়ী করেছে প্যালেস্টাইনপন্থীর সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে। যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজ়ায় এখন শুধুই বিস্ফোরণ আর পোড়া বারুদের গন্ধ। সাময়িক যুদ্ধবিরতির পরে আবার নতুন করে সংঘাতে জড়িয়েছে হামাস এবং ইজ়রায়েল। ইজ়রায়েলি হানায় রবিবারও অন্তত ২৬ জন প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে এক হামাস নেতাও রয়েছেন। তবে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা গাজ়ায় বসবাসকারী নারী এবং শিশুদের। নতুন করে হামলা শুরুর হওয়ায় গাজ়ার রাফাহ্ শহরের একটি অংশ ফাঁকা করে দেওয়ার জন্য প্যালেস্টাইনিদের নির্দেশ দিয়েছে ইজ়রায়েলি বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা ফের স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা ইজ়রায়েলের সঙ্গেই রয়েছে। গাজ়ায় নতুন করে সংঘাতের জন্য হামাসকেই দায়ী করছে তারা। এর অন্যতম কারণ হিসাবে আমেরিকা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধি না-হওয়াকেই দায়ী করছে।
গত ১৫ জানুয়ারি কাতার, আমেরিকা এবং মিশরের উদ্যোগে ইজ়রায়েল এবং হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। তা কার্যকর হয় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ফুরিয়েছে ১ মার্চ। দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। যদিও ইজ়রায়েল আগেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বৃদ্ধির পক্ষে সায় দিয়েছিল। তার জন্য হামাস গোষ্ঠীর উপর চাপ বৃদ্ধি করে যাচ্ছিল তারা। তার জন্য কখনও গাজ়ায় ত্রাণ পাঠানো বন্ধ করেছে, কখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছে। কিন্তু এতেও টনক নড়েনি হামাসপন্দথীদের। ফলে গত সপ্তাহ থেকে নতুন করে গাজ়ায় হামলা শুরু করে ইজ়রায়েল

প্রায় দু’মাস শান্ত থাকার পরে গাজ়ায় ফের গোলাবর্ষণ শুরু হওয়ায় ফের যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হচ্ছে। পাল্টা হামলা শুরু করেছে হামাস শিবিরও। তারাও ইজ়রায়েলের দিকে রকেট বর্ষণ শুরু করেছে। ইজ়রায়েলি হানায় গত কয়েক দিনে শয়ে শয়ে সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এ দিকে ইজ়রায়েলি বাহিনীর দাবি অনুসারে, সেখানে মাত্র কয়েক ডজন বিদ্রোহীকে তারা নিকেশ করতে পেরেছে।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে ইজ়রায়েলের মন্ত্রিসভা একটি নতুন দফতর তৈরির প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়। এই দফতরটি মূলত কাজ করবে স্বেচ্ছায় গাজ়া ছাড়তে ইচ্ছুক প্যালেস্তিনিদের সুবিধা দেখার জন্য। কিন্তু প্যালেস্টাইনিরা চাইছে না নিজেদের মাতৃভূমি ছেড়ে যেতে। এরই মধ্যে হামলা চলছে হামাস গোষ্ঠী ও ইজ়রায়েলের মধ্যে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ রবিবার জানিয়েছেন, নতুন করে এই সংঘাতের জন্য হামাস গোষ্ঠীই দায়ী। তাঁর দাবি, যুদ্ধ বিরোতি নিয়ে কোনো সমঝোতায় আসতে চাইছে না হামাস শিবির।