
ওঙ্কার ডেস্ক : দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে ইরান নিয়ে তাঁর আগের অবস্থানই বহাল রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সাফ কথা, ইরান যদি পারমানবিক অস্ত্র তৈরিতে উদ্যোগী হয় তাহলে বরদাস্ত করা হবে না। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যে তিনি আমেরিকার সর্বস্তরের প্রশাসনকে সজাগ করে দিয়েছেন। এমন কি, ওয়াশিংটনের আধিকারিকদের তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে যদি হত্যা করে তাহলে যেন ইরানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
গত বছরের শেষে রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরমাণু বিষয়ক নজরদারি সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’ তাদের একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি শুরু করেছে ইরান। এই মুহুর্তে তাদের কাছে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে। সেই আবহেই এ বার ইরানকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের উপর বেশী জোর দিলে ইরানের উপর ‘চাপ’ বৃদ্ধি করবে আমেরিকাও।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের রীতি মেনে এ বারেও ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হচ্ছে। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকাতেও স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার প্রতিটি প্রশাসনিক বিভাগকে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, যদি ইরান তাঁকে হত্যার চেষ্টা করে, তা হলে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘‘আশা করি, এই নিষেধাজ্ঞা বেশি ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে না। ইরানের জন্য কঠিন সময় আসছে। এই নীতি নিয়ে আমি নিজেও খুব একটা খুশি নই। কিন্তু কিছু করার নেই, আমেরিকাকেও শক্তিশালী হতে হবে।’’ তবে ইরানের সঙ্গে সহাবস্থানের জন্য নতুন কোনও চুক্তি করা হতে পারে, সে ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গত বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলি। ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি নিরাপত্তা পরিষদে খোলা চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়, প্রয়োজনে ইরানের পরমাণু অস্ত্রধর দেশ হয়ে ওঠা আটকাতে তারা সব ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত। সেই আবহেই এ বার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার এক মাসের মাথায় ইরানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করলেন ট্রাম্প।