
ওঙ্কার ডেস্ক: সালটা ছিল ২০১৮। প্রথম বার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মদনদে বসে ইরানের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি ভেঙে নিজেই বেরিয়ে এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাত বছরের মাথায় সেই চুক্তিতে ইরানকে সামিল করার জন্য এখন আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে হোয়াইট হাউস। এমনকি তেহরানকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে চুক্তিতে সই না করলে ফল ভাল হবে না বলে।
২০১৫ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরানের সঙ্গে তিন বছরের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি করেছিলেন। সেই চুক্তিতে সামিল ছিল ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিটির নাম ছিল ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন’ (জেসিপিওএ)। এই চুক্তি অনুযায়ী ঠিক হয়, তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি বন্ধ রাখলে ইরানের উপর চাপানো আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে রাষ্ট্রসঙ্ঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও কয়েকটি দেশ। সব দেশ তা মেনে নিয়েছিল। অথচ দেখা যায় ২০১৮ সালে একতরফা ভাবে সেই চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টের যুক্তি ছিল, ‘এই পরমাণু চুক্তি ওবামার ভুল পদক্ষেপ। এর ফলে আমেরিকার কোনও সুবিধা হয়নি। উল্টে লাভ হয়েছে ইরানের।’
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পরমাণু চুক্তি সই করে ইউরেনিয়াম পরিশোধন কর্মসূচি বন্ধ না করলে ইরান আরও ভয়ঙ্কর হামলার মুখে পডবে বলে। সাধারণ ভাবে পরমাণু বোমা তৈরি করতে গেলে ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন হয়। ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে তেহরান।