
ওঙ্কার ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরমাণু বিষয়ক আলোচনা শুরু হয়েছিল গত ১২ এপ্রিল। তার পর দু মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। এই আবহে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইজরায়েল আক্রমণ হেনেছে ইরানের বিভিন্ন জায়গায়। যে আক্রমণের পিছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ তেহরানের। বস্তুত এই ঘটনার পর থেকে ইরান-ইজরায়েল সংঘাত চরম আকার নিয়েছে। নেতানিয়াহু বাহিনীর আক্রমণের জবাবে ইরানও পাল্টা প্রত্যাঘাত শুরু করেছে। এই আবহে আগামী রবিবার ওমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু বিষয়ে আলোচনার কথা থাকলেও তাতে সামিল হতে অস্বীকার করেছে তেহরান।
তেহরানের বক্তব্য দাবি, আলোচনা এবং আক্রমণ একসঙ্গে চলতে পারে না। ইরানের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন আচরণ করছে যে, আলোচনা অর্থহীন হয়ে পড়েছে। আপনি একই সঙ্গে বোঝাপড়ায় আসতে চান, আবার ইজরায়েলকে ইরানের ভূখণ্ডে আক্রমণ করার সুযোগ করে দিতে চান। দুটো একসঙ্গে হতে পারে না।’
উল্লেখ্য, ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের আবহে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইরানের পরমাণু বৈঠক আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চলতি বছরের প্রথম দিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। ইরান যাতে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসে, সে বিষয়ে একটি চুক্তিতে রাজি হতে সেই চিঠিতে চাপ দিয়েছিল ওয়াশিংটন। সেই সময়সীমা ৬০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে।