
ওঙ্কার ডেস্ক: ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে পুনরায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে পেয়েও বোধ হয় স্বস্তিতে থাকতে পারলেন না মোদী। কারণ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই ট্রাম্প নিখাদ বন্ধুত্বতায় মোদীকে ফোন করেছিলেন এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ, সেই কথোপকথনে ট্রাম্প আমেরিকার অস্ত্র কেনার উপর চাপ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ওয়াকিবহাল মহল। যা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চর্চা।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী দিনে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বেশ জটিল হতে চলেছে। এক্ষেত্রে মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে যতই ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করুন না কেন, আগামী দিনে অস্ত্র কেনার ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের চাপ কি ভাবে সামলাবেন তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় থেকে যাচ্ছে। এতদিন অস্ত্র কেনার ব্যাপারে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে চলছিল ভারত। এর ফলে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানও প্রভাবিত করতে পারে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার দিনেই ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর আমলে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে প্রশাসন চলবে। সেই মতো অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইতিমধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড়ও শুরু করেছে আমেরিকা। পাশাপাশি বেশকিছু দেশের উপর শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে ফ্লোরিডায় এক দলীয় আলোচনায় ট্রাম্প বলেন, ‘যে সব দেশ আমাদের সত্যিই ক্ষতি করতে চায়, সেই সব দেশের উপর আমরা শুল্ক চাপাব।’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই কড়া অবস্থান প্রকারান্তরে ভারতের কাছেও ভবিষ্যতেরে বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন না তো !