
শুভাশিষ ঘোষঃ কোচের মুখ রাখলেন আইপিএলে সর্বোচ্চ দরে বিক্রি হওয়া খেলোয়াড়। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে মিচেল স্টার্কের ওপরই আস্থা রেখেছিলেন নাইট কোচ গম্ভীর। ম্যাচের দিন কোচের কথার যোগ্য প্রমাণ দিলেন তিনি নিজেই। ১৪ এপ্রিল রবিবার বাঙালির বর্ষবরণ। বর্ষবরণের দুপুরে ক্রিকেটের নন্দনকাননে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। যদিও দুই দলই শেষ ম্যাচ হেরেছিল। তবে এদিনের ম্যাচে টস জিতে লখনউকে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রেয়াস। অন্যদিকে দিল্লির বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে হার, তবে সেসব ভুলেই কলকাতাকে হারিয়ে দুই পয়েন্ট নিতে মরিয়া রাহুলের লখনউ। যদিও এদিন সবুজ-মেরুণ জার্সি পরে খেলতে নেমে নজর কাড়ে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দল। প্রথম ১১ বলে রাহুল ও ডিককের জুটি ১৯ রান করলেও, দ্বিতীয় ওভারের শেষে বৈভব আরোরা ডিকককে সাজঘরে পাঠিয়ে ওপেনিং জুটি ভেঙে দেয়। চতুর্থ ওভারের শেষ দুই বল থাকাকালীন স্টার্কের বল খেলতে গিয়ে রামানদীপের হাতে ধরা দিয়ে মাত্র ৮ রেন করেই মাঠ ছাড়েন দীপক হুড্ডা। এই উইকেটের পরই ক্রিকেট মহলে স্টার্ককে নিয়ে ওঠা সব প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ১০ ওভার পর্যন্ত রাহুল ও বাদোনির জুটি ৩৯ রান করে উইকেট ধরে রাখলেও। পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়তে হয় লখনউকে। রাহুল ২৭ বলে ৩ বাউণ্ডারি ও ২ ওভার বাউণ্ডারি মেরে ৩৯ রান করে রাসেলের বলে আউট হয়ে যান তিনি। স্টনিস ৫ বলে ১০ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে ও আয়ুষ বাদোনি ২৭ বলে ২৯ রান করে সুনীল নারিনের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়। শেষ ওভার পর্যন্ত পোরণ ও ক্রুণালের জুটি ২৭ বলে ৪৪ রান করে। তবে শেষ ওভারে স্টার্কের প্রথম বলে ও সল্টের মুঠোবন্ধি হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় পোরণকে। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে পোরণ ৩২ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ের সাহায্যে ৪৫ রান করেন। ইনিংসের শেষ বলে আরসাদ খানকে আউট করে নিজের উইকেট সংখ্যা বাড়ালেন স্টার্ক। তিনি ৩ উইকেট নেন। বৈভব আরোরা, রাসেল, বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারিন একটি করে উইকেট নিয়েছেন। যদিও এদিন উইকেট পাননি হার্ষিত রানা। ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান করে লখনউ সুপার জায়ান্টস।