
ওঙ্কার ডেস্ক: ইরানের পাশে দাঁড়াল ইয়েমেন। সেদেশের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি এবার আক্রমণ চালাল ইজরায়েলে। ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ শুরু করে হুথিরা। তবে এই আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছে তেল আভিভ। ইজরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছেন হুথিদের সামরিক বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ মুহাম্মদ আল-ঘামারি। যদিও ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় তাঁর কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
সূত্রের খবর, ইজরায়েল যখন আক্রমণ করে সে সময়ে হুথিদের চিফ অফ স্টাফ ঘামারি বৈঠক করছিলেন। তাঁর সদর দফতরেই আঘাত হানে তেল আভিভ। সেই এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্স এর যাতায়াত নজরে পড়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। রবিবার হুথিদের তরফে জানানো হয় ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে তারা ইরানের পক্ষে। হুথিদের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইজরায়েলের জাফফা শহরে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইয়েমেনের হুথিরা ইরানের সমর্থক। হুথি গোষ্ঠীর অনেকে ইরানে প্রশিক্ষিত। শুক্রবার ইজরায়েল ইরানে আক্রমণ করার পর তাই বসে থাকেনি ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী। তারাও ‘বন্ধু’ ইরানের পাশে দাঁড়াতে আঘাত হেনেছে ইজরায়েলে। প্রসঙ্গত, পরমাণু বিষয়ক চুক্তি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মত বিরোধের আবহে ইরানে আক্রমণ করে ইজরায়েল। এই ঘটনায় ওয়াশিংটনের হাত ছিল বলে অভিযোগ তেহরানের। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্বে ইয়েমেনও জড়িয়ে পড়ায় পশ্চিম এশিয়ায় ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি।