
ত্রয়ণ চক্রবর্তী, ওঙ্কারঃ হোস্টেলের ভিতরে বহিরাগত ছাত্রদের উপস্থিতি নিয়ে ওঙ্কার নিউজের সামনে সরব হলেন যাদবপুরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র পাভেল ধর চৌধুরী। কলেজের প্রাক্তনীদের হোস্টেলে না রাখার দাবির পাশাপাশি ,স্বপ্নদীপ কাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিও করেন তিনি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে, দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিকে সূত্রের খবর, হোস্টেলে রুম দখল করার একটা চক্র চলে। সৌরভ চৌধুরীর মতো পাস আউটরা র্যা গিং করে জুনিয়রদের হোস্টেল ছাড়া করে। অভিযোগ সেই ঘরগুলোকে দখল করে তারা। আবার অনেক সময় টাকা নিয়ে সেই ঘরে প্রাক্তনীদের ভাড়াও দেওয়া হয়।
প্রাক্তনীদের উচ্ছেদ করার মতো নির্দেশ আগেও দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু কার্যকরী করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় আধিকারিকদের সৌরভ মারতে গিয়েছিল বলে এখন যাদবপুরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। সৌরভের বিরুদ্ধে আগে উঠেছে একাধিক অভিযোগ। অ্যাডমিশনের সময় দাদাগিরির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। র্যা গিং চক্র চালানোর মতো অভিযোগ রয়েছে তার আগে থেকেই। শুধু সৌরভ নয় এর পেছনে রয়েছে দশ-বারো জনের একটি টিম। ঘটনার পর থেকেই পুলিশের স্ক্যানারে সৌরভের সেই টিম। জানা গিয়েছে ঘটনার পর যাদবপুরের এক পড়ুয়া বা ছাত্রনেতা হোস্টেলে যায় কথা বলে এবং সেই ছাত্র নেতাকে দেখা গিয়েছিল কেপিসি হাসপাতালে। পরে একবার ক্যাম্পাসে তাকে শেষবারের জন্য দেখা গিয়েছে।পুলিশের স্ক্যানারের তার নাম আসতেই ফোন বন্ধ করে দিয়েছে সে। ক্যাম্পাসেও সে নিখোঁজ।
কে এই সৌরভ!
সৌরভ চৌধুরী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনী। ২০১৭ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ছাত্রসংগঠন ডব্লিউ টি আই এর সক্রিয় নেতা। পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোনার বাসিন্দা। ২০২২ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস আউট হলেও হোস্টেলের অসামাজিক কাজকর্ম র্যা গিংয়ের মূল মাথা হল এই সৌরভ।
এখনো পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ১২ জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে, যারা অনেক আগেই পাস আউট হয়েছে, কিন্তু হোস্টেল থেকে নানা ধরনের অসামাজিক কাজ চালিয়ে আসছে।
সূত্রের খবর, হোস্টেলে আসার পর টানা দুদিন স্বপ্নদ্বীপকে আলাদা করে একটি ঘরে নিয়ে গিয়েছিল সৌরভ চৌধুরী এবং তাঁর “গ্যাং”।তবে ঘরে কি হয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি। সেই উত্তর জানতে সৌরভকে জেরা করবে পুলিশ ।