
সাধনা মিস্ত্রী, কলকাতা: যাদবপুর যুবক মৃত্যু কান্ডে পুলিশের হাতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার পুলিশের স্ক্যানারে ডিন অফ স্টুডেন্ট এবং হোস্টেল সুপার। কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে আবারো প্রশ্ন তুললো লালবাজার। ঘটনার দিন দশটা পাঁচ নাগাদ ডিন অফ স্টুডেন্ট এর কাছে ফোন যায় অভিযুক্ত সত্যব্রত রায়ের তরফ থেকে। ডিন অফ স্টুডেন্ট তারপর হোস্টেল সুপার কে ফোন করে বিষয়টা জানান। এরপর সুপার হোস্টেলের একতলা পরিদর্শন করে নিজের রুমে চলে যায়। কিন্তু যে ঘটনাস্থলে অর্থাৎ আদতে যেখানে অকথ্য অত্যাচার চলছিল সেই তিন ও চার তলা পরিদর্শনই করেননি সুপার বলে খবর লালবাজার সুত্রের। ডিন অফ স্টুডেন্ট এর মতে, “হোস্টেলের সুপার যদি পুরো বিষয়টা দেখতো তাহলে অন্তত সেদিন মৃত পড়ুয়ার প্রাণ বাঁচতো”।
অন্যদিকে শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেল পরিদর্শন করলো অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি। ইউজিসি গাইডলাইনের নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য হোস্টেলে নির্দিষ্ট ব্লক বরাদ্দ করা হল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ইউজিসি গাইডলাইনের নির্দেশিকায় প্রথম বর্ষের ছাত্রদের হোস্টেলে আলাদা ব্লকে রাখার নির্দেশ থাকলেও এতদিন কেন সেই নির্দেশ মানা হয়নি? তাহলে কি দুর্ঘটনার পরই টনক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের? পাশাপাশি এদিন সকালে মেন হস্টেলে অ্যান্টি রেগিং টিম এসে A1 ও A2 ব্লক এর আবাসিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরিদর্শনের কারণ হিসেবে উঠে আসে, অনেক আবাসিকরা প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর পর হোস্টেল ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীকালে এইরকম অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তাই এই পদক্ষেপ।
পাশাপাশি রীতিমতো রেড কার্ড নিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠছে হোস্টেলের সিনিয়রদের বিরুদ্ধে। পুলিশের অভিযোগ সৌরভ চৌধুরী ও তার গ্যাং হোস্টেলে টাকা তুলত। হোস্টেলে নবাগতরা এলে তাদের আর্থিক অবস্থা জেনে নেওয়া হত এবং হাতে লেনদেন নয় বরং ডিজিটাল কায়দায় নেয়া হতো সেই টাকা এমনই অভিযোগ উঠে আসছে পুলিশ সূত্রে।