
উজ্জ্বল হোড়, জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের প্রাচীন পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম প্রাচীন পুজো হলো বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ীর মনসা পূজা। কথিত আছে রাজবাড়ীর মনসা পূজো শুরু হয়েছিল ১৫০৯ সালে। প্রায় ৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির মনসা পূজা। এবছর ১৮ আগস্ট রাজবাড়ীর নিজস্ব মনসা মন্দিরে পূজিত হবেন মা মনসা।
১৫০৯ সাল থেকে সম্পূর্ণ রাজ ঐতিহ্য এবং রীতিনীতি মেনে এক স্থানে পূজিত হয়ে আসছেন মা মনসা। দীর্ঘ এতগুলি বছর ধরে চলা এই পুজোকে ঘিরে বিন্দুমাত্র উন্মাদনা কমেনি, জলপাইগুড়ি এলাকাবাসীর। শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি নয়, জলপাইগুড়ি সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসাম এবং কোচবিহার জেলার গ্রামীণ মানুষদের মধ্যেও উন্মাদনা থাকে ভীষণভাবেই।
এই প্রাচীন পুজো প্রসঙ্গে রাজবধূ লিন্ডা বোস জানান, রাজবাড়ির মনসা পুজো আর পাঁচটি পুজো থেকে ভিন্ন, কারন এখানে আটটি মূর্তিতে মা মনসার পুজো হয়ে আসছে সেই প্রাচীন কাল থেকে।
মনসা পুজোর হাতেগুনে আর মোটে কটা দিন বাকি। এই সময় পুজোকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা তুঙ্গে। বর্তমানে রাজবাড়ীর নিজস্ব মনসা মন্দিরে তৈরি করা হচ্ছে মা মনসার মূর্তি, চলছে মাকে নতুন বস্ত্র পড়ানো। পুজো প্রসঙ্গে রাজ পুরোহিত শিবু ঘোষাল জানান আগামী ১৮ থেকে ২৩ শে আগস্ট পর্যন্ত চলবে মনসা পূজো উপলক্ষে রাজবাড়ীর মেলা।
মনসা পুজো উপলক্ষে রাজবাড়ী সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় আজও বসে মেলা। যেই মেলায় রকমারি জিনিসপত্রের সাথে সাথে থাকে নানা রকম খাওয়ার জিনিস। জিলিপি থেকে শুরু করে ফাস্টফুড সব রকম খাবারেরই দোকান বসে এখানে এবং তাতে লক্ষ্য করা যায় উপচে পড়া ভিড়। সব মিলিয়ে এখন থেকে মানুষের মনের কোণে নড়া দিচ্ছে ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ীর মনসা পূজো সঙ্গে জমজমাট মেলা আনন্দ।