
উজ্জ্বল হোর, জলপাইগুড়ি : আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সঞ্জয়ের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। এই আবহে এবার সামনে এলো আরও এক সিভিকের কুকীর্তি !
মাদক সহ জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার কিশোর রায় নামে “অপসারিত” এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও তার এক সহযোগী।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন বালাপাড়ায় তিস্তা নদীর চরে দুই যুবককে মাদক সেবন করতে দেখে স্থানীয়রা ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখন এক যুবক নিজেকে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে পরিচয় দেয়। এরপর স্থানীয়রা জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে ওই দুজনকে আটক করে এবং তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে দেড়গ্রাম ব্রাউন সুগার এবং নেশা করার ৯৩টি ট্যাবলেট উদ্ধার করে। ধৃতদের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার পরিচয় দেওয়া যুবকের দাবি, তারা নিজেরা নেশা করার জন্য ওই মাদক কিনেছিলেন। থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর দুজনকেই পরবর্তীতে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম সমীর মণ্ডল, সে জলপাইগুড়ি শহরের কিং সাহেব ঘাট এলাকার বাসিন্দা। অপরজনের নাম কিশোর রায়। তার বাড়ি বানারহাটের কলাবাড়ি এলাকায়। বানারহাট থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলো এই কিশোর রায়। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ ওঠায় গত ১৬ই আগস্ট তাকে সিভিকের কাজ থেকে অপসারণ করা হয় বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খাণ্ডবাহালে। দুজনের বিরুদ্ধে মাদক বিরোধী আইনে(NDPS Act.) মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার দুজনকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে এবং রিমাণ্ডে নেওয়া হবে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে।
এর আগে আর জি কর কাণ্ড সহ একাধিক ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের নাম জড়িয়েছে। এবার মাদক সহ এক প্রাক্তন সিভিকের গ্রেফতারির ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে।