
উজ্জ্বল হোর, জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ির শহর থেকে সামান্য দূরে বৈকন্ঠপুরের গভীর জঙ্গল। সেই গভীর জঙ্গলে ৫১ পীঠের মধ্যে একটি পিঠ রয়েছে। মা ভামরীদেবীর মন্দির রয়েছে এখানে। সামনেই মায়ের পুজো। তা নিয়ে মেতে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মা ভামরীদেবীর মন্দির থেকে কিছুটা এগোলেই পর্যটকদের প্রিয় ভোরের আলো। এই দুইয়ের মাঝেই তিস্তা নদীর বিস্তীর্ণ চর। জলাভূমি আর জঙ্গল বৃষ্টিতে এই অঞ্চলের মানুষের অর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছেন বারো পেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদ্য প্রাক্তন হওয়া উপপ্রধান কৃষ্ণ দাস। এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে গৌরীকন আনন্দ মঠের কর্মযজ্ঞ। এই কর্মযজ্ঞে এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার।
এই আনন্দমঠ প্রকল্পে থাকছে এলাকায় উৎপাদিত ধান থেকে তৈরি স্থানীয় চাল যা বর্তমানে বিলুপ্তের পথে। এই আনন্দমঠে যে সকল পর্যটকেরা আসবেন তাদের খাওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা এমনটাই জানালেন প্রাক্তন উপপ্রধান কৃষ্ণ দাস। আরও বেশী উন্নয়ন হলে গ্রামবাসীরা ও আর্থিক দিক থেকে উন্নতি হবে এমনটাই আশাবাদী তারা।
এলাকার ভূমিপুত্র হওয়ার সুবাদে কৃষ্ণ বাবুর উন্নয়নের কাজে ইতিমধ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তৈরি হয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে পর্যটনের জন্য বাঙলো। প্রকল্পের উদ্দেশ্য দেখে এগিয়ে আসছে বহুজাতিক সংস্থা থেকে দেশীয় শিল্প সংস্থা।