
স্পোর্টস ডেস্ক : শুক্রবার যুবভারতীতে জামশেদপুর এফসির মুখোমুখি মোহনবাগান। এই ম্যাচ জিতলে লিগ টেবিলে উঠবে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। তবে হারলে কিন্তু সমস্যা। এদিন ম্যাচের আগে বাগান কোচ আন্টেনিও লোপেজ হাবাস বলেন, “হার নিয়ে আমি ভাবছিই না। সব সময় জেতার কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। জামশেদপুর ম্যাচে হারলে সমস্যা হতে পারে, জানি। কিন্তু তার পরেও আমাদের এক নম্বর জায়গাটা পাওয়ার লড়াই চলবে।
অন্য কোনও দলের ম্যাচের ফলে আমাদের ওপর কী প্রভাব হবে, সে সব নিয়ে ভাবতে চাই না আমরা। আমাদের সাফল্য-ব্যর্থতা শুধু আমাদের হাতেই রয়েছে। তাই শুধু নিজেদের দলের খেলায় মনোনিবেশ করতে চাই। নিজেদের ম্যাচ নিয়েই ভাবতে চাই”।
জামশেদপুর দলটার মধ্যে অনেক পরিবর্তন এনেছেন ভারতীয় কোচ খালিদ জামিল। ভারতীয় কোচের প্রশংসা করে হাবাস বলেন, “খালিদ জামিল ভাল কাজ করছে। ও যখন নর্থইস্টের কোচ ছিল তখন থেকেই আমি ওকে জানি। ওর আর ওর দলের প্রতি শ্রদ্ধা আছে আমাদের। তবে এই ম্যাচ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ওরাও নিশ্চয়ই এই ম্যাচের জন্য ভাল প্রস্তুতিই নিচ্ছে। ভাল ম্যাচ হবে”।
জামশেদপুর দলে জেরেমি মানজোরোর মতো সেটপিস বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, যিনি বক্সের কাছ থেকে ফ্রিকিকে একাধিক গোল করেছেন। জামশেদপুরের এই বিশেষ সুবিধা নিয়ে হাবাস বলেন, “ওরা সেটপিসে ভাল হতে পারে। তবে সেটপিস এড়ানোর সবচেয়ে ভাল উপায় কর্নার, ফাউল এগুলো হতে না দেওয়া। সে জন্য আমাদের বুদ্ধি করে খেলতে হবে। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচে আমাদের ছেলেরা একশো শতাংশ দেওয়ার জন্যই নামবে। কারণ, এই ম্যাচটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে জিতলে হয়তো আমরা এক নম্বরে উঠে যেতে পারি”।
এছাড়া হাবাস জানালেন “ঘরের মাঠে খেলব বাড়তি সুবিধা হবে আমাদের। তবে গোল করতে হলে গোলের সুযোগ তৈরি করতেই হবে। আমরা গোলের সুযোগ যত তৈরি করব, ততই গোলের সম্ভাবনা বাড়বে। তাই এই নিয়ে আমি চিন্তিত নই। গোলের সুযোগ তৈরি হওয়া তো ভাল। তা ছাড়া, প্রতি ম্যাচ পাঁচ গোলে বা তিন গোলে জেতা সম্ভব না। আপনারা দেখেছেন, গত কয়েকটি ম্যাচে ব্যবধান কমই হয়েছে। দু-এক গোলের বেশি ব্যবধানে কেউ জিততে পারেনি। লিগের এই জায়গায় এসে অনেক গোল করে ম্যাচ জেতা কঠিন। কারণ, প্রায় সব দলই একে অপরের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে জেনে গিয়েছে”।
শুক্রবারের এই ম্যাচের পরেই তাদের সামনে কলকাতা ডার্বি। যা নিয়ে অনেক অনুশীলন ও প্রস্তুতির প্রয়োজন। তবে শুক্রবারের ম্যাচ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডার্বি নিয়ে কোনও চিন্তা করতেই রাজি নন সবুজ-মেরুন কোচ। ডার্বিকে বাড়তি গুরুত্বও দিতে রাজি নন তিনি। বলেন, “সমর্থকদের কাছে ডার্বি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কিন্তু আমাদের কাছে জামশেদপুর ম্যাচের গুরুত্ব যে রকম, ডাবির গুরুত্বও সে রকম। এখনই ডার্বি নিয়ে ভাবছি না। আগে আমাদের কালকের ম্যাচে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে একশো শতাংশ দিতে হবে। তার পরে ডার্বি নিয়ে ভাবা যাবে”।