
ওঙ্কার ডেস্ক: গত ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে চারধাম যাত্রা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা সামিল হয়েছেন এই যাত্রায়। যাত্রা শুরুর এক মাসের মধ্যে অর্থাৎ প্রথম মাসেই ৭৩ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানাল উত্তরাখণ্ড সরকার।
উল্লেখ্য, ৩০ এপ্রিল পুণ্যার্থীদের জন্য গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী খুলে দেওয়া হয়। কেদারনাথের দরজা খুলে দেওয়া হয় গত ২ মে এবং বদ্রীনাথ ধাম খুলে দেওয়া হয় ৪ মে। উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কেদারনাথে যাওয়ার পথে ৩০ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বদ্রীনাথ যাওয়ার পথে। যমুনোত্রীতে যাওয়ার সময় ১২ এবং গঙ্গোত্রী যাত্রার পথে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে দাবি, এ বছর চারধাম যাত্রায় যে পুণ্যার্থীদের মৃত্যু হয়েছে তার পিছনে রয়েছে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণ। বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দুর্ঘটনার জেরেও। মৃত পুণ্যার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই মহারাষ্ট্র, দিল্লি, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানার বাসিন্দা। মৃতদের বয়স ৪৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্যসচিব আর রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে মৃত্যুর হার কম। তিনি জানান, এক মাসে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার পুণ্যার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য গোটা যাত্রাপথে উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসা পরিষেবার জন্য মোতায়েন রয়েছে ৬৯ জন মেডিক্যাল অফিসার, ১২১ জন নার্স, ২৬ ফার্মাসিস্ট। এ ছাড়া ৩০৯টি অক্সিজেন সম্বলিত বেড, ৬টি আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি অ্যাম্বুল্যান্স ও ব্লাডব্যাঙ্কেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।