
স্পোর্টস ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটায় ঠিক রাত আটটা। ক্রিকেটের নন্দনকাননে পা রাখলেন শাহরুখ খান। সাদা ফুল স্লিভস হুডি এবং নীল জিন্স। মাথায় পনি টেল। চোখে রাত চশমা। মাঠে প্রবেশ করেই দর্শকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন কিং খান। তাতেই উজ্জীবিত গ্যালারি। তখন সবে ৬ ওভার শেষ হয়েছে। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারায় কেকেআর। ফিরে গিয়েছেন সুনীল নারিন, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, শ্রেয়স আইয়ার। মুষড়ে পড়েছে গ্যালারি। নাইটদের এই হাল দেখে স্ট্যান্ডে বেরোলেন না শাহরুখ। ভেতরেই বসেন। কিন্তু রাসেল নামতেই ঘুরে গেল ম্যাচের মোড়। শেষ ১০ ওভারে ১৩১ রান। শেষ পাঁচ ওভারে ৮৩। তারমধ্যে ২৫ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত আন্দ্রে রাসেল। বিধ্বংসী ইনিংসে রয়েছে ৭টি ছয়, ৩টি চার। ভুবনেশ্বর কুমারের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে অর্ধশতরানে পৌঁছে যান। কর্পোরেট বক্সের দিকে তাকিয়ে দু”হাত তুলে, মাথা নত করে অভিবাদন গ্রহণ করেন। শাহরুখের চিন্তান্বিত মুখে তখন হালকা হাসি ফুটেছে। ইডেনের জায়ান্ট স্ক্রিনে হাততালি দিতে দেখা যায় বলিউডের বাদশাকে। ২০ ওভারের শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে কেকেআরের রান ২০৮।সানরাইজার্সের জন্য ২০৯ রানের লক্ষ্যটা নেহাত কম ছিল না। কেকেআরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপ বাড়ছিল সানরাইজার্স শিবিরে। কিন্তু হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাটিং ম্যাচে ফেরায় সানরাইজার্সকে। এমন সময় মিচেল স্টার্কের মতো অভিজ্ঞ বোলারের থেকে ভালো কিছুর প্রত্যাশা ছিল। যদিও প্রথম ম্যাচে চূড়ান্ত ব্যর্থ স্টার্ক।
শেষ ওভারে হর্ষিত রানার মতো অনভিজ্ঞ বোলার ম্যাচ জেতাবে! একশো শতাংশ ভরসা ছিল না কেকেআর শিবিরেও। ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার পুরস্কার বিতরণে বলেন, ‘১৭ ওভার থেকে আমিও চাপে ছিলাম। শেষ ওভারে মনে হয়েছিল, যা কিছুই হতে পারে। আমাদের অনভিজ্ঞ বোলার ছিল। তবে এরকম মঞ্চও প্রয়োজন।