
ছোটবেলা থেকেই আমরা জানি পুজো মানে একটা অন্য আনন্দ। বহু মাস থেকে করে রাখা প্ল্যানিং। কিন্তু সেই ছোট্টবেলার ছাত্রী জীবনের পূজোর থেকে এখনকার পুজোটা অনেকটা অন্য। তবে পুজো আসার আগের উত্তেজনাটা এখনো থেকে গেছে আগের মতই।
তখন পূজো মানেই ছিল স্কুল ছুটি, পূজোর কয়েকদিনের জন্য মায়ের বকুনি বন্ধ, বই বন্ধ শুধু পাড়ায় বন্ধুদের সাথে মণ্ডপে চারিদিকে সারাদিন ছুটে বেড়ানো। বিকেলে মা-বাবা, বড়দের সঙ্গে নতুন জামা পড়ে ঠাকুর দেখতে যাওয়া। কিন্তু এখন এর পুজোটা কিছুটা হলেও অন্য। নেই কোন স্কুল ছুটি পড়ার আনন্দ, হয় না আর আগের মত মা- বাবার হাত ধরে ঠাকুর দেখতে যাওয়া। এখন আমরা আগে থেকে প্ল্যানিংটা করেনি বন্ধুদের সঙ্গে। হয়তো ছোটবেলার থেকে অনেক বেশি ঘোরা হয় অনেক বেশি ঠাকুর দেখা হয় তবুও কোথাও গিয়ে যেন মনে পরে ছোটবেলার সেই দুর্গাপুজোটা। স্কুলে এক মাসের ছুটিতে থাকত না কোনো চিন্তা, অফিস যাওয়ার তাড়া, ছিল না সময়ের অভাব। তবে সবশেষে বিজয়া আজও সেই একই মন খারাপের পালা চলে ছোট থেকে বড় পরিবারের সবার। আবার একটা বছরের অপেক্ষা নিয়ে একে অপরকে “শুভ বিজয়া”-র শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ হয় আমাদের দুর্গা পুজো। একাদশীর দিন ফাঁকা মন্ডপে মন ভারী হয়, মনে মনে বলি তাড়াতাড়ি আবার এসো না। শুরু হয় আমাদের রোজগার সাধারণ জীবন শুধু মনে থেকে যায় মায়ের আবার ফিরে আসার আশা।
শিল্পা নাথ আতঙ্কার পরিবারের সদস্য