
ওঙ্কার বাংলা অনলাইন ডেস্কঃ শনিবার মহরম। তার আগে পুলিশকে শব্দ দূষণ নিয়ে পাবলিক নোটিশ জারির নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের। মহরমের আগে উচ্চ স্বরে ড্রাম বাজানো মিছিল করা ইত্যাদি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন সগুপ্তা সুলেমন। সেই মামলা প্রসঙ্গেই পুলিশকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের মন্তব্য শব্দ দুষনের আইন কড়া। অনেকটা আপনাদের অটোমেটিক অস্ত্রের মতো। শুধু আপনাদের অস্ত্রের মতো বুলেট নেই।
এদিন নোটিশে পুলিশকে কখন মিটিং, কতক্ষন জমায়েত ইত্যাদি নির্দিষ্ট করতে হবে বলেও নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় সকালে ২ ঘণ্টা এবং বিকেলে ২ ঘণ্টা মাইক বাজানো যাবে। পাশাপাশি ক্লাব বা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে মিছিলের জন্য অগ্রিম অনুমতি নিতে হবে বলেও জানান প্রধান বিচারপতি। তবে যেহেতু সময় অল্প, তাই সবাই অনুমতি জোগাড় করতে না পারলে কোন গ্রুপ ড্রাম বাজাচ্ছে বা কতক্ষন বাজাচ্ছে তা দেখতে হবে পুলিশকেই। নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন “পড়ুয়াদের পরীক্ষার প্রস্তুতির প্রয়োজন। ক্রমাগত শব্দ দুষনে শিশুদের কানের ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বলা আছে, কোন এলাকায় কত শব্দ হবে। আবার শব্দ নিয়ন্ত্রণের কথাও বলা আছে। শীর্ষ আদালত ধর্ম প্রচারের জন্য মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। আবার ধর্মের জন্য সবকিছু আইনের উর্ধে এমনও বলেন নি, শীর্ষ আদালতের রায় উল্লেখ করে মন্তব্য হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির। এরপরই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য অনেক নাগরিক সচেতন নন। পুলিশের কাজ কেউ আইন ভাঙছে কিনা সেটা। উৎসবে ড্রাম বাজালেও আইন অনুযায়ী রাত দশটার পর মাইক ব্যবহার করা যায় না জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। পুলিশ এটা দেখবে। পাশাপাশি দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকেও পাবলিক নোটিশ জারি করতে নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত মহরমের এক সপ্তাহ আগে থেকেই উচ্চস্বরে মাইক বা ক্রমাগত ড্রাম বাজানো কোনও ধর্মীয় উৎসবের অঙ্গ হতে পারে না বলে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন সগুপ্তা সুলেমন। সেই প্রসঙ্গেই বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।