
ওঙ্কার বাংলা অনলি ট্রুথঃ সৌদি আরবে বসে মিনাখাঁয় পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পত্র কি করে জমা দিলেন তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাঁজি ? এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন বিরোধীরা। গত শুক্রবার ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের আইনজীবী এদিন আদালতে জানান আমরা তদন্ত করে ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির মনোনয়ন বাতিল করেছি। রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলকারির আইনজীবী এজলাসে বলেন ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আছে বলে আমরা মনে করি। এই ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তদন্ত প্রয়োজন। কমিশন বর্তমানে ওই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে বটে তবে এই ঘটনা অনেক কিছু ইঙ্গিত করছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে কেউ আমাদের অভিযোগ নেয়নি।
রাজ্যের আইনজীবী জানান সিঙ্গেল বেঞ্চ প্রথমে এটা নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলো। পরবর্তীকালে ডিভিশন বেঞ্চ একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে তদন্তভার দেয়।
সব পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে এই ঘটনা তদন্তযোগ্য অপরাধ বলেই মত দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতির মন্তব্য রিটার্নিং অফিসারের কার্যকলাপ যথেষ্ট সন্দেহজনক। যে ব্যক্তি এই মনোনয়নপত্র গ্রহন করেছিলেন তিনি বিষয়টিকে খুব ক্যাসুয়ালি নিয়েছেন। এমনকি স্ক্রুটিনিটাও ঠিক মতো হয়নি। এদিন সিসিটিভি সহ যাবতীয় নথি সংরক্ষণেরও নির্দেশ দেন তিনি। তবে এদিন ঘটনার তদন্তভার কোন সংস্থার হাতে যাবে তা নিয়ে কোনও নির্দেশ দেননি বিচারপতি সিনহা। ১৯ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।