
শেখ চিকু, কলকাতা:চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের ১০০০তম দিনে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ কুণাল ঘোষ ধর্নামঞ্চে পৌঁছতেই উত্তাপের আঁচ আরো বেড়ে যায়। ‘সরকার যদি ভুল করে থাকে, তবে তাকে প্রায়শ্চিত্তও করতে হবে’- কুনালের মন্তব্যে ফের তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের শনিবার ১০০০ তম দিন। সকাল থেকেই ময়দান চত্বর ছিল সরগরম। এদিন সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটনাস্থলে যান তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। তাকে দেখে আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা ওঠে ‘চোর চোর’ স্লোগান।
এদিন মানবিকতার খাতিরে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন বলে জানান কুনাল ঘোষ পাশাপাশি ধর্না মঞ্চ থেকে ফোন করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। সূত্রের খবর, শিক্ষা মন্ত্রী চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠক হবে আগামী সোমবার দুপুর তিনটেয়। দিনশেষে প্রাপ্তি এটুকুই। ‘সরকার যদি ভুল করে থাকে তবে তাকেই প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে’ এদিন কুনালের এই মন্তব্য রাজ্য রাজনীতির ক্ষেত্রে আলাদা তাৎপর্য বহন করছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
শনিবার মহিলা চাকরিপ্রার্থী রাসমণি পাত্র মাথার চুল বিসর্জন দেন চাকরির দাবিতে। নিজেদের দাবিকে সামনে রেখে ক্যামেরার সামনে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এরপরেই সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।একদিকে যোগ্যপ্রার্থীদের শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবিতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থানের হাজারতম দিনে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর নেতৃত্বে মিছিল করে বামফ্রন্ট।এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছান কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী।ধর্না মঞ্চে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ, ইন্দ্রনীল খাঁ প্রমুখ ।
কবে মিলবে নিয়োগ? পরিবার-পরিজনদের ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে রাস্তায় বসে আন্দোলন। কবে ফিরবেন বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই প্রশ্ন রেখেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে আগামী সোমবার শিক্ষামন্ত্রী চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠক থেকে কোনো সমাধানসূত্র মেলে নাকি সেদিকে নজর রয়েছে সকলের।