
সুমন গাঙ্গুলিঃ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পথ খারিজ নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। রাজ্য রাজনীতিতে যিনি কট্টর তৃণমূল বিরোধী বলেই পরিচিত। অথচ কী এমন হলো যে সংসদের বুকে দাঁড়িয়ে এক তৃণমূল সাংসদের সদস্যপদ খারিজের বিরোধিতা করে সবচেয়ে বেশি সরব হলেন তিনি, যিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে রোজ নিয়ম করে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানান! আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। এমনকি এই প্রশ্ন উঠে আসছে তবে কি ইন্ডিয়া জোটের কথা মাথায় রেখেই তৃণমূলের প্রতি সুর নরম করছেন বঙ্গ কংগ্রেসের সেনাপতি?
মহুয়া মৈত্রর সংসদ পদ খারিজ হবে কিনা তা নিয়ে যখন টানা পড়েন তখন অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর লোকসভার স্পিকার কি চিঠি লিখে কি ভুল তা জানতে চান অধীর আর তারপর থেকেই রটে যায় বাংলায় তৃণমূল আর কংগ্রেসের জোট শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। যদি এসব নিয়ে খুব একটা ভাবতে নারাজ অধীর বরং স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে পাল্টা তৃণমূলকে আক্রমণ করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রবিবার দিল্লিতে সোজাসাপ্টা উত্তর ,”আমি মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়িয়েছি তৃণমূল কংগ্রেসের নয়।
এটা বাস্তব মহুয়া মৈত্র তৃণমূলের সাংসদ কিন্তু পাশাপাশি ও লোকসভার একজন সাংসদ তাই একজন সাংসদ হিসেবে আরেকজন সংসদের প্রতি যে অন্যায় হয়েছে তার প্রতিবাদ করেছি।” এখানেই শেষ নয় পাশাপাশি অধীরের আরো বক্তব্য, “মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে মানেই তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছি তা নয় আম আর আমরা কে এক করা হচ্ছে। আজগুবি কথা। “এদিন তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করে অধীর আরো বলেন,” তৃণমূলের খুব একটা তাগিদ আমি দেখিনি এমনকি যে আদানি ইস্যুতে মহুয়া মৈত্র প্রশ্ন তুলেছিল উত্তরবঙ্গে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে একটা প্রশ্ন কথাও তুললেন না আসলে তৃণমূল আদৌ বিশ্বাসযোগ্য কোন রাজনৈতিক দল নয়।”
তবে বিজেপিকেও একহাত নিয়ে ফের পরোক্ষ ভাবে এদিন ও মহুয়ার পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল অধীরকে। তিনি বলেন,”আমি নিজেই লগইন করতে জানি না। আমার অফিস থেকে বলে দিই, এই এই প্রশ্ন গুলো করো। টেকনোলজি স্যাভি আমি নই। আমি মোবাইল ধরতে জানি, কল করতে জানি। আমি নিজেই কিছু জানি না, তা আমাকে জেলে পুরে দিতে পারে, কোনও অসুবিধা নেই।”