
ওঙ্কার ডেক্স: কুলতলির মৈপিঠে বাঘের আক্রমণে গুরুতর আহত হন বন কর্মী গণেশ শ্যামল। বয়স ৪৩ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, তাকে প্রথমে কুলতলি জামতলা রুরাল হাসপাতালে প্রথমিক চিকিৎসা করা হয়। অবস্থার অবনতি হতে তাকে পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন আক্রান্ত ওই বন দফতরের কর্মী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার মাকড়ি নদী পার করে নগেনাবাদ গ্রামে চলে আসে একটি বাঘ। সোমবার সকাল থেকেই ওই বাঘটিকে জঙ্গল ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করা হয়। বনদপ্তরের লোকজন ও টাইগার রেসকিউ টিমের হুলো পার্টি ,বাঘটিকে ঘিরে জঙ্গলের দিকে পাঠানোর চেষ্টা করার সময় বাঘটি ঝাপিয়ে পড়ে গনেশের উপর। মুখের মধ্যে হাতদিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলে ডান চোখে কামড় বসায় বাঘ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,
মৈপিঠ কোস্টাল এলাকায় শুধু মাত্র এই শীতের মরশুমে ২৫ বার বাঘ ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে।
তাদের আর অভিযোগ,
কিছুদিন আগে রাহুল হালদার নামে এক ছেলেকে বাড়ির সামনের রাস্তায় বাঘে আক্রমণ করে। এরপর দেবিপুরে জানকি গীরির বাড়িতে সন্ধ্যাবেলায় বাঘ ঢুকে যায়। ২০২৫ সালের এর মধ্যেই ৬ জন বাঘের আক্রমণে আক্রান্ত হয়। মৃত ৪ জন।
এলাকার মানবধিকার কর্মী
মিঠুন মন্ডলের অভিযোগ, আমরা মনে করি বার বার লোকালয়ে বাঘ চলে আসার পিছনে চক্রান্ত রয়েছে। মৎসজীবিদের উৎখাত করার ষড়যন্ত্র। স্থানীয় মানবধিকার সংগঠনের দাবি,বাঘকে জঙ্গলের মধ্যে আটকে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
বন দফতরে স্থায়ী প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
বিশ্বব্যঙ্কের প্রকল্প রুপায়নের চুক্তির বিপুল পরিমাণ টাকার লোভে মৎসজীবী ও গ্রামবাসীদের উৎখাত করার চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে।