
ওঙ্কার ডেস্ক : ইতিহাসে পিএইচডি করার ইচ্ছে ছিল জেলবন্দি মাওবাদী নেতা অর্ণব দামের। ইন্টারভিউয়ে প্রথম হলেন. বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির সুযোগও পেয়েছেন অর্ণব। কিন্তু তাঁর পিএইচডির ভর্তি প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এবারে এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষ ।
উল্লেখ্য, জেলে বসেই উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অর্ণব। সেট পাশ করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে পিএইচডি-র আবেদন করেছিলেন। তারপর পুলিশি নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গিয়ে ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন অর্ণব। অধিকার করেছিলেন প্রথম স্থান। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁর ভর্তিতে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ জানায়, পিএইচডি করতে হলে অন্তত প্রথম ৬ মাসের কোর্স ওয়ার্ক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হাজির থেকে করতে হয়। কিন্তু জেলবন্দি অর্ণব তা করবেন কীভাবে? এই প্রশ্নই তোলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, খড়গপুর আইআইটি-তে পড়াকালীন হঠাৎই ক্যাম্পাস থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররিং-এর ছাত্র অর্ণব. তারপর ১৯৯৮ সালে মাওবাদী সংগঠনে যোগ দিয়েছিলেন.
২০১০ সালে শিলদা ইএফআর ক্যাম্পে হামলা থেকে শুরু করে একাধিক মাওবাদী হামলায় যুক্ত ছিলেন অর্ণব। ২০১২ সালে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেলবন্দি হন তিনি। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তাঁর। বর্তমানে হুগলির চুঁচুড়া জেলা সংশোধনাগারে বন্দি তিনি।