
স্পোর্টস ডেস্ক :১৮ অগাস্ট ৩ প্রধানের সমর্থকদের তৈরী হওয়া একতা যে নষ্ট হয়নি সেটা ফের একবার প্রমাণ হলো যুবভারতীতে। ইস্টবেঙ্গল আরমহামেডান ডুরান্ড কাপ থেকে ছিটকে গেলেও মোহনবাগান এদিন বেঙ্গালুরু ম্যাচের শেষে টিফো গ্যালারিতে বের করে। যেখানে লেখা ছিল হাতে হাত রেখে এ লড়াই, আমাদের বোনের বিচার চাই!’ এ দিনের টিফোতেও দেখা গিয়েছে কলকাতার দুই প্রধানের সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হওয়া সম্প্রীতির ছবি। লেখায় ব্যবহার করা হয়েছে সবুজ-মেরুন এবং লাল-হলুদ রং। দু’দিকে দু’টি মেয়ের ছবিতেও ছিল দুই প্রধানের জার্সির রং।ডুরান্ড কাপ কোয়ার্টার ফাইনালের পর সেমিফাইনালেও মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে একা হাতে জেতালেন তাদের গোলপ্রহরী বিশাল কয়েথ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পেনাল্টি শুট আউট বা টাইব্রেকারে ২০২২-এর চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু এফসি-কে হারায় গতবারের ডুরান্ডজয়ীরা। পেনাল্টি শুট আউটের শেষ দু’টি শট বাঁচিয়ে দলকে ফাইনালে তুললেন বিশাল। আগামী শনিবার ফাইনালে তারা ঘরের মাঠে মুখোমুখি হবে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের, যারা এই প্রথম ডুরান্ড কাপের ফাইনাল খেলতে চলেছে।
এ দিন প্রথমে দু’গোলে পিছিয়ে থাকার পরে সেই দুই গোল শোধ করে মোহনবাগান এসজি। প্রথমে ৪৩ মিনিটের মাথায় সুনীল ছেত্রীর পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু এফসি। বিরতির পরে ৫০ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়িয়ে নেন ভেঙ্কটেশ ভিনিথ। ৬৮ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমান মোহনবাগানের অস্ট্রেলীয় তারকা দিমিত্রিয়স পেট্রাটস এবং ৮৪ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত গোল করে সমতা আনেন অনিরুদ্ধ থাপা।
খেলা টাইব্রেকারে গড়ালে প্রথম চারটি শটেই গোল করে মোহনবাগান। কিন্তু তাদের শেষ শটটি বাঁচিয়ে দেন বেঙ্গালুরুর অভিজ্ঞ গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুর প্রথম তিনটি শট গোলের জালে জড়ালেও শেষ দু’টি শট পরপর সেভ করেন বিশাল। যার ফলে ৪-৩-এ জয়ের হাসি মুখে নিয়ে মাঠ ছাড়ে সবুজ-মেরুন তারকারাই এবং যুবভারতীর গ্যালারিতে উল্লাসে ফেটে পড়েন তাদের হাজার হাজার সমর্থক।