
স্পোর্টস ডেস্ক :আগামী ২০ মার্চ মোহনবাগানের পরবর্তী কার্যকরী কমিটির বৈঠক।বিচারপতি অসীম রায়ের নেতৃত্বে নির্বাচন সংক্রান্ত পাঁচ সদস্যের যে কমিটি তৈরি হয়েছে, তাঁদের হাতে ২০ মার্চ সমস্ত ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। সেই কমিটিই নির্বাচনের দিন ঠিক করবে। সেই কমিটিই নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে। সেই দিন ই ক্লাবে মালি দের জন্য আলাদা তাঁবু উদ্বোধন। ভাসিয়া মালির নামে প্রতিষ্ঠা হবে।
পাশাপাশি এদিন মোহনবাগানে শিল্ড জয় উদযাপন হল। পতাকা তুললেন বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। ক্লাবে আসেন প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসুও। সেখানেই বেজে গেলো নির্বাচন দামামা।দেবাশিস দত্ত বললেন,’মোহনবাগানের এই কমিটির কাছে এই সাফল্য সত্যি ভোলার নয়। শুধু ফুটবলে নয়। এতো বছর পরে হকিতে নেমে আমরা চ্যাম্পিয়ন। আথলেটিক্স চ্যাম্পিয়ন।। আর আমরা ক্রিকেট ডে পালন করছি।’ পাল্টা বললেন সৃঞ্জয়। সচিব দেবাশিস দত্ত র নাম না করে কটাক্ষ করে তিনি বললেন,’ভালো তো। উনি আগে বলতেন যে খেলা অলিম্পিকে নেই উনি সেই খেলায় উৎসাহী নয়। এখন ক্রিকেট নিয়ে বলছে। মোহনবাগানে ক্রিকেট উনি এনেছেন বলেই বোধহয় অলিম্পিকে ক্রিকেট এসেছে। আইওসি শুনে এনেছে। সচিনদের ক্রেডিট না দিয়ে উনাকে দেওয়া উচিত। আমরা নিজেদের ঘরের লোকেদের চিনতে ভুল করি। মোহনবাগান যখন একা দল করত তখন আরও সাফল্য পেয়েছে। ত্রিমুকুট কিন্ত ভবানীপুর পেয়েছে। মোহনবাগান ক্রিকেটে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন। বড়ো ক্লাবদের ছোটক্লাবদের একটু বলা উচিত। আর এখনকার সময়ে যারা কমিটি মেম্বার তারা বহুদিন ধরে ক্লাব করছে নিজের সাফল্য বলে চালানোর দরকার নেই। উনার জন্য তো পদ তৈরী হয়েছে প্রথম চারটি পদের মধ্যে অর্থসচিব।ফুটবল কনভেনার উনার জন্য তৈরী হয় পদ আবার পদ চলে যায় উনি চলে গেলে।। তাই আগের সাফল্যও উনার। নতুন করে বলার কিছু নেই।’দেবাশিস দত্ত ভালো কাজ করেছেন তাকেই রাখা উচিত! কারণ নির্বাচন হলে অর্থর ক্ষতি। সৃঞ্জয় বললেন, তাহলে ভারতের মত দেশে নির্বাচন হওয়াই উচিত নয়। এটা গণতন্ত্র র দেশ। প্রত্যেকের নিজের কথা বলার অধিকার আছে।’