
অনুপ রায়, হাওড়া: মঙ্গলা হাট অগ্নিকাণ্ড ঘটনায় গ্রেপ্তার স্বঘোষিত হাট মালিক।আগুন লাগার পেছনে হাটের মালিকের একাংশের দাবি ছিল ষড়যন্ত্র এবং অর্ন্তঘাতের জেরে এই আগুন লাগানো হয়েছে। তাদেরই মুখে উঠে আসে শান্তিরঞ্জন দে র নাম। শান্তিরঞ্জনের দাবি তিনিই হাটের মালিক। এ ঘটনায় তদন্তে নেমে বেশ কিছু তথ্য উদ্ধার এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার রাতে কলকাতার ক্যানিং স্ট্রিট থেকে গ্রেফতার হন শান্তিরঞ্জন দে। ধৃতের বিরুদ্ধে আগুন লাগানোর ষড়যন্ত্র সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার রুজু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, 20 জুলাই মঙ্গলা হাটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় চার হাজারের বেশি দোকান। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করে দেন। জেলাশাসকের নেতৃত্বে শুরু হয় কাজ। ঠিক হয়েছিল হাটের যেসব অংশ পুড়ে গেছে সেই সব জঞ্জাল পরিষ্কার করে সেখানে ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা বিক্রি বাট্টা শুরু করতে পারে। কিন্তু সোমবার এসে জঞ্জাল স্তূপ পড়ে থাকতে দেখে ব্যবসায়ীদের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
কি করে আগুন লাগল? সত্যিই কি দুর্ঘটনা না চক্রান্ত? হাট ব্যবসায়ীদের একাংশ দাবি হাটের মালিক শান্তিরঞ্জন অঞ্চলের দোকানগুলি ভেঙ্গে বহুতল তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তা করতে না পারায় চক্রান্ত করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে তিনি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। তার দাবি সর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।