
আজ রবিবার নন্দীগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো শহীদ স্মরণ সভা। তৃনমূলের পক্ষ থেকে স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন কুণাল ঘোষ।অপরদিকে বিজেপির সভায় উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারি।এই সভা ঘিরে তৃনমূল বিজেপির দড়ি টানাটানি অব্যাহত রইলো এই বছরও ।
উল্লেখ্য গত ২০০৭ সালের ৭ই জানুয়ারি, নন্দীগ্রামের খেজুরি নন্দীগ্রাম সংযোগস্থল লাগোয়া ভাঙাভেড়া ব্রিজে ভরত মন্ডল ও শেখ সেলিম নামে দুজন কৃষক শহীদ হয়েছিলেন। সেই সময় থেকে প্রতিবছর ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে, তৃণমূল কংগ্রেস ৭ই জানুয়ারি ভোর ৪টা ৩০মিনিটের সময় শহীদ তর্পণ স্মরণ সভা করে আসছে।
২০২০ সালে শুভেন্দু অধিকারী দল বদলের পর থেকে চিত্রটা বদলে যায়। নন্দীগ্রামের ভাঙ্গাভেড়া শহীদ মিনারে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে তৃণমূল বিজেপি দুই দলই আলাদাভাবে শহীদ স্মরণ সভা করে।এবার ভোর রাত থেকেই নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সৌজন্যে নন্দীগ্রামের সোনাচুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙ্গাভেড়া বাজারে শহীদ স্মৃতিসৌধে শহীদ তর্পণ স্মরণ সভায় কুনাল ঘোষ সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বরা শহীদ বেদীতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে শহীদদের স্মরণ করেন। এই সভা থেকে কুণাল ঘোষ বলেন জমি দখল কারি ,অত্যাচারী,ধর্ষণ কারীরা বিজেপি যোগ দিয়েছে।তাদের সঙ্গে নিয়ে শুভেন্দু রাজনীতি করছে।
আবার এখান থেকে ঠিক ১০০ মিটার দূরে নন্দীগ্রামের ভাঙ্গাভেড়ায় শহীদ মিনারে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শহীদ স্মরণ সভায় শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থকরা। এই সভা থেকে শুভেন্দু বলেন চোরদের সাধারণ মানুষ সমর্থন করেনা। এটাই ওদের শেষ শহীদ স্মরণ।এই লোকসভা ভোটের পর আর তৃনমূল কে দেখা যাবেনা।
সবমিলিয়ে শহীদ স্মরণ ঘিরে তরজা অব্যাহত থাকলো এবছরও।অন্যান্য বছরের মতো এদিন শহীদ স্মরণ সভাকে ঘিরে আমরা ওরা’র রাজনীতি বহাল রইল নন্দীগ্রামে।