
ওঙ্কার ডেস্ক: জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ১৫ জুন কানাডার উদ্দেশে রওনা দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিনই রাস্তায় বিমানের জ্বালানি ভরার জন্য সাইপ্রাস থামবে মোদীর বিমান। সেখান থেকেই তিনি উত্তর আমেরিকার দেশটিতে পৌঁছোবেন। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাইপ্রাসে থামার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে কূটনৈতিক শিবিরে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মোদী সাইপ্রাসে থেমে বিমানের জ্বালানি ভরার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা তাৎপর্যপূর্ণ। এর ফলে তুরস্ককে বার্তা দেবে নয়াদিল্লি। যেখানে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে ভারত অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে, সেই সময় তুরস্ক পাকিস্তানের পাশে ছিল। শুধু তাই নয় ভারতের উত্তর এবং পশ্চিমে একাধিক সেনাছাউনিকে নিশানা করতে তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করেছিল ইসলামাবাদ। যদিও ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেগুলিকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
সাইপ্রাসের জমি অবৈধ ভাবে দখল করে রাখার অভিযোগ তুরস্কের বিরুদ্ধে। মোদীর কানাডা সফরে তাই সাইপ্রাসে থামার সিদ্ধান্ত তুরস্কের উপর আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদী ভারতের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাইপ্রাসের মাটিতে পা রাখবেন। এর আগে ১৯৮৩ সালে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সাইপ্রাস সফর করেন ইন্দিরা গান্ধী। অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে ২০০২ সালে ওই দ্বীপরাষ্ট্র সফর করেন।