
গোপাল শীল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : থানার দায়িত্বে স্কুল পড়ুয়াড়া ! ব্যস্ত সময়ে থানার দায়িত্ব নিল খুদেরা। ডিউটি অফিসারের টেবিল থেকে তদন্তকারী অফিসারের টেবিল, সব জায়গায় তখন খুদেদের দাপট। তাদের কথা শুনছেন অফিসাররা থেকে আরম্ভ করে অন্যান্য পুলিশ কর্মীরাও। এমনকি থানায় অভিযোগ জানাতে আসা সাধারণ মানুষও। এদিন এমনই ছবি ধরা পরল নরেন্দ্রপুর থানায়।
প্রসঙ্গত, একটি বেসরকারি স্কুলের ছোট ছোট শিশুরা এসেছিল নরেন্দ্রপুর থানায়। এইসব শিশুদের জন্য নিজেদের চেয়ার টেবিল ছেড়ে দিয়েছিলেন অফিসাররা। সেই চেয়ার টেবিলে বসেই অফিসারদের কাজকর্ম সম্পর্কে জানল কচিকাঁচারা। কথাও বললেন অনেকের সাথে। এরই মধ্যে কেউ কেউ একটু অপ্রস্তুত কেউ কেউ আবার একটু ভ্যাবাচ্যাকা। সেই সমস্ত শিশুদের সামলাচ্ছেন পুলিশ কর্মীরাই। সারাদিন ব্যস্ততা ও ডিউটির মাঝে সে যেন একটু অন্যরকম পাওয়া। কেউ আবার কোলে নিয়ে বাচ্চা সামলাচ্ছেন। পুলিশকর্মীদের মুখে তখন হাসি।
স্কুলের শিক্ষিকারা জানান, এটা এক প্রকারের ফিল্ড ট্রিপ. স্কুলের চার দেওয়ালের বাইরে বেরিয়ে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতার জন্যই এই ট্রিপের আযোজন করা হয়েছে. থানায় আসতে পেরে খুশি ছোটরাও।
যে কোনও ক্ষেত্রেই চেনা ছক ভেঙে বেরিয়ে আসা জরুরি. শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রয়োজন উদ্ভাবনের. আর কিডজি় কামালগাজির শিক্ষকদের এ হেন উদ্যোগে খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা.