
ওঙ্কার ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ ক্রমশ মাথাচড়া দিচ্ছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে। গত মঙ্গলবার বালুচিস্তানকে স্বাধীন রাষ্ট্র করার দাবিতে লড়াইরত বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির বিদ্রোহীরা একটি আস্ত ট্রেন হাইজ্যাক করে যাত্রীদের পণবন্দী করেছিল। তাদের দাবি না মানায় ২১৪ জন যাত্রীকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বালুচ বিদ্রোহীরা। এরপর শনি ও রবিবার মিলিয়ে পাকিস্তানে প্রায় ৫৭টি সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। যার ফলে অন্তত ১০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পাকিস্তানে অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা নিয়ে।
গত ৪৮ ঘন্টায় যে ৫৭টি হামলা চলেছে তার প্রত্যেকটির দায় স্বীকার করেছে কোনও না কোনও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। কিন্তু এই সমস্ত ঘটনা নিয়ে পাক সরকারের তরফে যে দাবি করা হয়েছে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলির দাবির সঙ্গে মেলেনি। পাক সরকারের তরফে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে দু’দিনে বিদ্রোহীদের হামলায় পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪৬ জন। তবে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি এবং তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান-এর দাবি, মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
রবিবার বালুচিস্তানের কোয়েটায় পাক সেনাবাহিনীর কনভয়ে হামলা হয়েছিল। যে ঘটনার পর সেনার তরফে জানানো হয়, ওই হামলায় সাত জনের মৃত্যুর কথা। কিন্তু পরে সেই হামলার দায় স্বীকার করে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। ওই গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছে, ৯০ জন পাকিস্তানি সেনা তাঁদের হামলায় নিহত হয়েছেন। কোয়েটার হামলার পর পাক-আফগান সীমান্তের গারিগালেও একটি হামলার ঘটনা ঘটে। তাতে ন’জন সেনা গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। সব মিলিয়ে বার বার সন্ত্রাসী হামলার মুখে পড়ায় পাকিস্তান কি নিকট ভবিষ্যতে ছিন্নভিন্ন হওয়ার পথে এগোচ্ছে? ইসলামাবাদের কপালে ক্রমশ উদ্বেগের ভাঁজ চওড়া হচ্ছে।