
শুভদীপ বর্মন, আলিপুরদুয়ার: এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নব জোয়ার কর্মসূচিতে এসে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন,পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরে জয়ীদের মধ্যে যুব এবং নতুনদের বেশি করে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ গঠনে সেই বিষয়টি পুরোপুরি মানা হল। সোমবার আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি হলেন নতুন মুখ স্নিগ্ধা শৈব। সহকারী সভাধিপতি হিসেবে পুনরায় দল ভরসা রাখলেন মনোরঞ্জন দে’র ওপরেই ।
যদিও এই দুই পদে এই দুজনের নাম আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলোনা বলেই জানা গেছে বিশ্বস্ত সূত্রে। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদে সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতি হিসেবে একাধিক নাম উঠে এসেছিল। সহকারী সভাধিপতি হিসেবে নাম উঠে এসেছিল যুব নেতা অনুপ দাসের। তিনি এর আগে আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন।
এদিন বোর্ড গঠন কমপ্লিট না হতেই সভা ঘর থেকে বেরিয়ে যান অনুপ দাস। এবং বেরিয়ে যাবার সময় জেলা পরিষদ সদস্য অনুপ দাস অনেকটাই আশাহত হয়ে বলেন, দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই করেছে। আমি এ নিয়ে ২৭ তারিখ বলব। তাঁর ক্ষোভ যে রয়েছে তা তাঁর কথাতেই পরিষ্কার। যদিও আলোচনায় তার নাম উঠে এসেছিল সহকারী সভাধিপতি হিসেবে। কিন্তু দল তাতে শীলমোহর দেয় নি, তাই কিছুটা হলেও ক্ষুদ্ধ অনুপ।
এদিকে সভাধিপতি হিসেবে নতুন মুখ স্নিগ্ধা শৈব। তিনি স্কুল শিক্ষিকা। তাঁর সাফ কথা তাঁর উপর দল ভরসা করেছে। তিনি সকল কে নিয়ে কাজ করতে চান। তৃনমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, সোমবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত আমি নিজেও জানতে পারিনি সভাধিপতি কে হচ্ছেন। যা করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। তিনি আরও বলেন, দলীয় গাইড লাইন কেউ ভায়োলেট করেনি।
আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদে ১৮ টি আসন। এবার নির্বাচনে ১৮ টি আসনই দখল করে শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেস। যদিও তৃণমূলের জেলা পরিষদ বোর্ড গঠন কে কটাক্ষ করেছেন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও। তিনি বলেন, তৃণমূল ধরে নিয়েছিল তারা জেলাপরিষদে ক্ষমতায় আসবে না, পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যেই এসেছে। নতুন মুখ এবং যাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকবে না তাদের দায়িত্বে আনা হবে, কিন্তু সেই বালি মাফিয়া কয়লা মাফিয়ারাই দায়িত্ব পেল।