
নিজস্ব সংবাদদাতা , নদীয়া : কয়লা, বালি, কঙ্কালের পর এবার আস্ত বিল চুরির করে অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরেও এবার বিল দখলবাজি করার অভিযোগ এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর হুঁশিয়ারি ওই বিল কেউ যদি দখল করতে আসে তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন করবেন তারা। নদীয়ার হরিপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিলের ধার পাড়া এলাকার ঘটনায় দফায় দফায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসীর দাবি, ১৯৮৬ সাল থেকে এই বিল মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার জন্য ব্যবহৃত হবে বলে জানানো হয় সরকারি তরফে। এরপর থেকেই ওই বিলকে কেন্দ্র করে চলে এলাকাবাসীর জীবন জীবিকা, কেউ মাছ ধরে সংসার চালান , এছাড়াও চাষিরা ব্যবহার করে ওই বিল। অভিযোগ ওই অঞ্চলের পাঁচ নম্বর সংসদের মহিলা মেম্বারের স্বামী , তৃণমূল নেতা বাবলু হালদার জোরপূর্বক কাগজপত্র তৈরি করে বিল দখল করার চেষ্টা করছে।
রবিবার বিল বাঁশ দিয়ে ঘেরার চেষ্টা করলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ওই তৃণমূল নেতা বাবলু হালদার কে। সোমবার সকালে আবারো ওই বিল দখল করতে যায় তৃণমূল নেতা বাবলু হালদার, সেই সময় দফায় দফায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ করতে শুরু করে এলাকাবাসী। তাদের দাবি এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন প্রোমোটাররা এই বিল দখল করার চেষ্টা করলে , রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তারা, আবার নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে বিল দখল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা যায় প্রাচীনকালে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সম্পত্তির অধীনস্থ ছিল এই বিল, বর্তমানে এই বিলের উপর নির্ভরশীল এলাকার শতাধিক পরিবার। রুজি রোজগার এই বিল থেকেই। এর আগেই দখল রুখতে একাধিক প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত জানিয়েছেন এলাকার মানুষ, তবুও চলছে প্রোমোটার রাজত্ব। অন্যদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বাবলু হালদারের দাবি, তিনি সঠিক উপায়ে বিলের কিছুটা অংশ কিনে নেন, তার কাছে রয়েছে বৈধ কাগজপত্র। তিনি কোন অপরাধমূলক কাজ করছেন না, এলাকাবাসীর যে দাবি তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
বিল দখলবাজির ঘটনায় এলাকা উত্তেজিত হলে, ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশের আশ্বাসে বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হলেও এখনো উত্তপ্ত পরিস্থিতি রয়েছে ওই এলাকায়।